close
  
  
         
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
					ভারতের সরকার সম্প্রতি এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে দেশের জনগণের হাতে বাড়তি টাকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সম্প্রতি সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আয়কর কাঠামোতে একটি বড় সংস্কার আনা হয়েছে, যা গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় কর সংশোধন হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এই নতুন কাঠামো অনুযায়ী, যাদের বার্ষিক আয় ১২ লাখ ৮০ হাজার রুপি পর্যন্ত, তারা আর কর দিতে হবে না। আগের কাঠামোতে এই সীমা ছিল ৭ লাখ রুপি, যা এখন দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে।
ভারতের অর্থমন্ত্রী, নির্মলা সীতারমন বলেন, “নতুন এই কর কাঠামো মানুষের হাতে বেশি টাকা রাখবে এবং এর ফলে মানুষের সঞ্চয় ও খরচ দুটোই বাড়াতে সহায়তা করবে।”
নতুন কর কাঠামোর সুবিধা: কর কমবে, সঞ্চয় বাড়বে
যাদের বার্ষিক আয় ২৫ লাখ রুপি, তাদের ক্ষেত্রে কর কমানোর পরিমাণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আগে, এই আয় শ্রেণীতে করদাতাদের ৪ লাখ ৫৭ হাজার রুপি কর দিতে হতো, কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে তা কমে দাঁড়াবে ৩ লাখ ৪৩ হাজার রুপি। অর্থাৎ, প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার রুপি কম কর দিতে হবে, যা মাসে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার রুপি সঞ্চয়ের সুযোগ তৈরি করবে।
সরকারের লক্ষ্য: অর্থনৈতিক চাঙাভাব সৃষ্টি করা
এই করছাড়ের ফলে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে, তবে এর উদ্দেশ্য হলো দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে বেশি টাকা রেখে বাজারে খরচ বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক চাঙাভাব সৃষ্টি করা। অর্থসচিব তুহিন কান্তা পান্ডে বলেন, “সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের খরচ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।” তিনি আরও জানান, নতুন এই কর কাঠামো গ্রহণের মাধ্যমে অধিকাংশ করদাতারা তাদের রিটার্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন পদ্ধতিতে জমা দেবেন, যা প্রায় ৭৫ শতাংশ হবে।
ভবিষ্যতে কি পরিবর্তন আসবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন কর কাঠামোর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সরকারের এই পদক্ষেপ মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি গঠনের দিকে এগিয়ে যাবে ভারত।
এখনকার মতো, দেশের জনগণের জন্য এই নতুন কর কাঠামো যে কতটা লাভজনক হতে পারে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে এর সুফল স্পষ্টভাবে দেখা যাবে।
					
					
					
					
					
					
    
					
					
			
					
					
					
					
					
					
					
				
				
				
				Комментариев нет
							
		
				
			


















