ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ট্রাম্প প্রশাসন: সংকট সমাধানে সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্র..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে মধ্যস্থতায় আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মার্কো রুবিয়ো দুই দে..

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র — উপমহাদেশে দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে ওয়াশিংটন মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে এবং তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিয়ো সবাই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।”

তিনি আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দ্রুত কমে আসুক। তিনি জানেন, এই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা ও সামরিক সংঘাতের ইতিহাস রয়েছে, তবে বর্তমানে এমন উত্তপ্ত পরিবেশ বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিয়ো ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন বলে জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয়নি, বরং সংঘাত এড়াতে এবং আলোচনা দিয়ে সমাধান খুঁজতে আগ্রহী।

এর আগে, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এক প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ট্রাম্প ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আছে।” যদিও পাকিস্তান বরাবরই এই হামলার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এমন ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে পড়ে, এবং সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন মধ্যস্থতার পদক্ষেপ।

হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি উভয় দেশের নেতৃত্বকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এই মুহূর্তে তাদের সংঘাত থেকে সরে আসা উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবে সাহায্য করতে পারে, তাহলে আমরা অবশ্যই করব। আমরা চাই, ভারত ও পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ পথে ফিরে যাক।”

হোয়াইট হাউস থেকে আরও জানানো হয়েছে, মার্কো রুবিয়ো দুই দেশের সঙ্গে ব্যাকচ্যানেল যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে কোনোভাবেই পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে গড়ায় না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই আগ্রহ শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং এটি দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অনেকেই মনে করছেন, আন্তর্জাতিক মহলের চাপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা হয়তো এই সংকট নিরসনে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

Aucun commentaire trouvé