close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ভারত জানতো দুই মহিলার নেতৃত্ব না থাকলে নিজামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন: রফিকুল ইসলাম..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ছাত্র-জনতার দাবিতে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম স্থগিত হলেও শাহবাগে অবস্থান নেওয়া জুলাই আন্দোলনের আহতরা বলছেন, ‘এই দল ইতিহাসের অপরাধী—স্থায়ী নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরছি না।’..

রাজপথে আন্দোলনের প্রবল চাপের মুখে সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা এলেও, জুলাই আন্দোলনের আহতদের ক্ষোভের আগুন যেন আরও দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছে।
রোববার (১১ মে) সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বসে থাকা এই আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট ভাষায় বলছেন—তাদের দাবি সাময়িক নিষিদ্ধ নয়, চিরতরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার গ্যারান্টি

তিনটি মূল দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাঁরা রাজপথেই থেকে গেছেন:
১. আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা
২. জুলাই সনদের স্বীকৃতি
৩. আহতদের জন্য পূর্ণ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ

আন্দোলনকারীরা বলেন, “স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে জনতার চোখে ধুলা দেওয়া যাবে না। এই দল ইতিহাসের দায়ে অপরাধী, আমরা ফিরবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত না স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আইনগতভাবে বাস্তবায়ন হয়।”

সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, অথচ রাজপথ ছাড়ছেন না আহতরা

এদিন সকাল থেকে শাহবাগ, বাংলামোটর, টিএসসি, কাঁটাবনসহ আশপাশের এলাকা জুড়ে ভয়াবহ যানজট দেখা দেয়।
অফিসগামী মানুষ, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে আটকে থেকে তাঁরা কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি।

আন্দোলনকারীদের একাংশ মাইকে বারবার ঘোষণা দিয়েছেন—

“এই লড়াই শুধু একটি দলের বিরুদ্ধে নয়, এটা একটি গোষ্ঠীভিত্তিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতির শেষ প্রতিরোধ।
আমরা যারা রক্ত দিয়েছি, তাদের আত্মত্যাগকে বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। শাহবাগ আমাদের ঘর। এখান থেকেই পরিবর্তনের ঘোষণা আসবে।”

আন্দোলনের পেছনে ৩ জুলাইয়ের দগদগে স্মৃতি

আন্দোলনকারীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, গেলো ৩ জুলাইয়ের সেই ভয়াবহ হামলার কথা, যেদিন রাজপথে অসংখ্য মানুষ আহত হন।
আহতদের চিকিৎসা ও সেই ঘটনার বিচার এখনও হয়নি। এই দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন।


📰 দ্বিতীয় হেডলাইন:

“হাসিনা পালালেও আমরা পালাইনি”— নিজামীর শহীদ দিবসে জামায়াতের চ্যালেঞ্জ, জামায়াতই হবে পরবর্তী বাংলাদেশ

📌 শর্ট ডিসক্রিপশন:

নিজামীর শহীদ দিবসে পাবনার সাঁথিয়ায় বিশাল সমাবেশে জামায়াত নেতারা বললেন—হাসিনার আমলে জামায়াতকে নির্মূলের চেষ্টা হলেও, এখন মাঠে ফেরা নিশ্চিত; জামায়াত ছাড়া কেউ দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না।


সম্পূর্ণ রিপোর্ট:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর শাহাদাত দিবসে সাঁথিয়ার সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত মিলাদ ও আলোচনা সভায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজনীতি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন,

“নিজামীর মতো নেতৃত্বকে ভয় পেতো ভারত। দুই মহিলার নেতৃত্ব না থাকলে বাংলাদেশে আজ নিজামী নেতৃত্বে থাকতেন। তাই ভারতের চাপেই এ বিচার ও হত্যা।”

রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিচার ছিল মিথ্যা মামলা ও সাক্ষ্য দিয়ে সাজানো বিচারিক গণহত্যা
তিনি বলেন, “এই হত্যার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে যারা কালেমা পড়ে শহীদ হয়েছেন, তারা পালিয়ে যাননি। কিন্তু হাসিনা পালিয়েছেন, তার মন্ত্রীরা পালিয়েছেন।”

নিজামী ছিলেন একটি ইতিহাসের নাম

মাওলানা রফিকুল বলেন, “সাঁথিয়ার মতো একটি প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে নিজামী নিখিল পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সভাপতি হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন জননেতা, আদর্শিক নেতা। তাঁকে হত্যা করে ইতিহাস থামানো যাবে না।”

জামায়াত নেতারা বলেন, এখন সময় এসেছে সকল গণহত্যার বিচার ও পাচার হওয়া টাকা ফেরতের
তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তিকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে এবং দেশে সৎ ও ইসলামপন্থী নেতৃত্ব কায়েম করতে হবে।

নেতৃত্বের নতুন প্রতীক: ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতারা বলেন, শহীদ নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন এখন দলের অন্যতম প্রতীক।
তাকে আগামী নির্বাচনে সমর্থন জানিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবার ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সমাপ্তি বার্তা: জামায়াত ফিরছে মাঠে—আর কেউ নয়, এবার জামায়াতের বাংলাদেশ

সভায় জেলা আমির আবু তালেব মন্ডল বলেন, “ফ্যাসিবাদী হাসিনা চেয়েছিলেন আমাদের শহীদ করে জামায়াতকে শেষ করতে। কিন্তু জনগণ আজ তাকেই নিষিদ্ধ করেছে।”
জামায়াতের নেতারা বলেন, এখন সময় এসেছে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের এবং শহীদের রক্তের বদলা নেওয়ার।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator