ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ভালুকা উপজেলায় স্কুল চলাকালীন সময়ে কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট ও কোচিং-এ অংশ নিতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি জানান, যেসব কোচিং সেন্টার এ নিয়ম লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি এক বার্তায় ইউএনও বলেন, “ভালুকা পৌর শহরে কোচিং সেন্টারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এগুলোর অধিকাংশই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষকদেরও নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণে অনীহা দেখা দিচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, “কোচিং সেন্টারগুলো যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির আওতায় না থাকায় সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। নিয়মানুবর্তিতা, পরিচালনা ও মনিটরিংয়ের ঘাটতির কারণে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন।”
এ বিষয়ে অভিভাবকদের মতামত জানতে চাইলে অনেকে বলেন, “স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং-এ পাঠানো কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। প্রশাসনের নজরদারি কিছুদিন কড়াকড়ি থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।”
স্থানীয় সচেতন মহল ও শিক্ষকরা মনে করছেন, কোচিং সেন্টারগুলোকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন যথাযথ তদারকি, নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং কড়া মনিটরিং। এতে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকবে এবং শিক্ষার গুণগত মানও বজায় থাকবে।