বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী বি স্ফো রক মা ম লা য় গ্রে প্তা র..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পারভেজ আপেলকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ফের উত্তেজনা ছড়ালো ক্যাম্পাসে।..

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আবারও উত্তেজনা। গত জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আলোড়ন তুলেছে, নতুন করে ছাত্র ও কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

গ্রেপ্তারের ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টায় রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকা থেকে। আটক হওয়া ব্যক্তির নাম পারভেজ আপেল, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে মাস্টার রোলে কর্মরত ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর সরাসরি তাজহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ মুসাদ্দেকুর হোসেন বলেন, "পারভেজ আপেলকে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নজরদারিতে ছিলেন। অবশেষে আজ তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।"

গত ৭ মে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদের দায়ের করা বিস্ফোরক মামলাটি মূলত জুলাই অভ্যুত্থান ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটেই করা হয়েছিল। মামলায় মোট ৭১ জন নামীয় আসামি রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন:

  • ৩৬ জন শিক্ষার্থী

  • ২ জন শিক্ষক

  • ১৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী

  • স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী

  • এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮০-১০০ জন ব্যক্তি

এই মামলায় ইতোমধ্যে একজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পারভেজ আপেল এই মামলার সর্বশেষ গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রশাসন বর্তমানে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে ছাত্রদের একাংশ মনে করছেন, এ ধরণের গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়তো এই মামলার তদন্তে গতি আনতে আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে পারে। তদন্ত সংস্থাগুলো এখনো ওই সহিংস ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি সংগ্রহ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, তদন্ত চলাকালীন কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে যেই হোক না কেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাইয়ের সহিংসতা এবং প্রশাসনের মামলার জের ধরে যে গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে, তা এখন নতুন মোড় নিয়েছে। কর্মচারী পারভেজ আপেলের গ্রেপ্তার সেই উত্তেজনার মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত কতটা স্বচ্ছ হয় এবং শেষ পর্যন্ত কারা কারা অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হন।

Nenhum comentário encontrado