close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বেচারা ঘাড় মটকে দিতে চেয়েছিল, এখন তার ঘাড় মটকে গেছে , পিনাকী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পলাতক মন্ত্রী নওফেলের দুই রূপের ছবি ঘিরে পিনাকীর বিস্ফোরক মন্তব্য—ঘাড় মটকাতে গিয়ে নিজেই পড়লেন বিপদে! ভাইরাল ফেসবুক পোস্টে ছড়াল আলোড়ন।..

এক সময় যিনি ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা, শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন—আজ সেই মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দেশের রাজনীতিতে এক প্রকার 'পলাতক অধ্যায়' হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আর সেই পলাতক মন্ত্রীর একটি ভাইরাল ছবি ঘিরে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াল তীব্র আলোড়ন। কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন জনপ্রিয় লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য

গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পিনাকী দুটি ছবি পোস্ট করেন। একটি নওফেলের মন্ত্রী থাকার সময়ের সুসজ্জিত ছবি, আরেকটি বর্তমান সময়ের — যেখানে তাকে দেখা গেছে একেবারে অসুস্থ, বিধ্বস্ত ও ক্লান্ত চেহারায়। দুই ছবির এই বিপরীত চিত্র যেন বোঝায়, সময় কিভাবে বদলে দেয় মানুষের অবস্থান।

“বেচারা তো কাদের যেন ঘাড় মটকে দিতে চেয়েছিল। এখন তো মনে হচ্ছে, নিজেরই ঘাড় মটকে গেছে। ওপরে হাসিনার মন্ত্রী থাকার টাইমের ছবি। নিচে পলায়নের বর্ষপূর্তির টাইমে।”

এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, এটি শুধুই একটি রসিকতা নয়—বরং গভীর রাজনৈতিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।

পিনাকী আরও যোগ করেন,বাকশালিরা কেমন শান্তিতে আছে, এটা এই ছবি দুটি দেখেই বোঝা যায়। ব্রাভো দেশবাসী। বাকশালিদের দৌড়ানির ওপরে রাখার জন্য।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যখন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হয়, তখন থেকেই নওফেল ছিলেন আত্মগোপনে। দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত করেছে, নওফেল বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং ফিরেও আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

তবে সম্প্রতি তার কিছু নিকটাত্মীয়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে, তিনি এখন চরম হতাশায় ভুগছেন এবং শারীরিকভাবেও বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন।

পিনাকীর পোস্টটি মুহূর্তেই হাজার হাজার রিয়েকশন, শেয়ার ও মন্তব্য কুড়ায়। অনেকেই মন্তব্য করছেন, “ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, সময় সবার হিসাব নেয়।” কেউ লিখেছেন, “একদিন যারা গলা চেপে ধরতে চেয়েছিল, তারা নিজেরাই এখন শ্বাস নিতে পারছে না।”

সামাজিক মাধ্যমে এমন প্রতিক্রিয়ার ঢেউকে অনেকে দেখছেন ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য বড় বার্তা হিসেবে—ক্ষমতার দম্ভ, অত্যাচার, আর অবিচারের বিরুদ্ধে গণমানুষের নীরব বিজয়ের প্রতীক হয়ে উঠছে এমন দৃশ্যপট।

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল একসময় ছিলেন ক্ষমতার কেন্দ্রে, আজ তিনি পলাতক। পিনাকীর ব্যঙ্গাত্মক পোস্টে ফুটে উঠেছে সেই পতনের নির্মম চিত্র। সময়ই মানুষকে শেখায়—অহংকারের পতন কতটা দ্রুত হয়।

Nessun commento trovato