close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
প্রতিবেশী বদলানো যায় না, তবে দাদাগিরি মেনে নেওয়া হবে না
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ঐতিহাসিক পুরাতন গুলদি ময়দানে অনুষ্ঠিত ৮ম তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্যে বলেন, “প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই, কিন্তু তাদের দাদাগিরি ও মিথ্যা গুজব কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না। ভারতের আধিপত্যবাদ যদি গৌর গোবিন্দে রূপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ হযরত শাহজালালের ভূমিকা নিয়ে তা রুখে দেবে।”
আজহারী জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানকার মুসলিম ছাত্ররা পূজা-পার্বণের সময় মন্দির পাহারা দেয়, যা বিশ্বে বিরল। তবে দেশের জনগণ সব ধরনের বিভক্তি ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সদা প্রস্তুত।
দেশের অগ্রগতিতে ঐক্যের গুরুত্ব
আজহারী বলেন, “দেশ ও জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতির মূল ভিত্তি হচ্ছে ঐক্য। বিগত ৫০ বছরে নিজেদের বিরোধের কারণে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছি। এখন ঐক্যবদ্ধ না হলে স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। আমাদের প্রভু এক, আমরা এক উম্মাহ। মতাদর্শে ভিন্ন হলেও দেশের স্বার্থে ঐক্য বজায় রাখা জরুরি।”
তিনি দেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই রুখতে হবে। বিভক্তির ষড়যন্ত্র বন্ধ না করলে দেশের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।”
ভার্চুয়াল বক্তৃতায় সালাহউদ্দিনের অভিযোগ
মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে মুসলমানরা এবং আলেম সমাজ। আমিও এবং ড. মিজানুর রহমান আজহারীও কম নির্যাতনের শিকার হইনি। অতীতে কথা বলার স্বাধীনতা ও ধর্মীয় চর্চার অধিকার প্রায় ছিল না। এখন ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে।”
কোরআনই মুক্তির পথ: শিবির নেতা মাসুদ
ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক মুক্তি আসেনি। একমাত্র আল কোরআনই এই জাতিকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে। ভয় দেখিয়ে আল্লামা আজহারীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু লাখো সাঈদীর সৃষ্টি কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।”
মাহফিলে বিশাল জমায়েত
মাহফিলে অংশ নেন শায়খ মুফতি কাজী ইব্রাহিম, মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমিন, আল্লামা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারীসহ আরও অনেকে। প্রায় ৬ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইমামতি করেন শায়খ সালাহউদ্দিন মাক্কী।
চূড়ান্ত বার্তা
মাহফিলের বক্তারা সবাই একমত হন যে, দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখতে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য। বক্তারা দেশের মানুষকে বিভক্তি এড়িয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
لم يتم العثور على تعليقات