close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
চলতি বছরের পবিত্র হজের নিবন্ধন শেষ হলেও বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক হজ কোটা ফাঁকা থেকে গেছে। সৌদি সরকার বাংলাদেশকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ দিলেও রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৬২ হাজার ২১২ জন। ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে প্রায় ৫৭ হাজার হজ কোটা শূন্য থেকে গেছে।
নিবন্ধনের হালনাগাদ তথ্য
হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, চূড়ান্ত নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ৬২ হাজার ২১২ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৪ হাজার ৭৫৯ জন এবং বেসরকারিভাবে ৫৭ হাজার ৪৫৩ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া আরও প্রায় ৮ হাজার হজযাত্রী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন, যা এখনও চূড়ান্ত হজ নিবন্ধনে যোগ হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যাংকে টাকা জমা দিলে তা চূড়ান্ত হওয়ার জন্য এক কর্মদিবস সময় লাগে। রোববার যারা টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের টাকা আগামী মঙ্গলবার জমা হবে। কারণ সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি রয়েছে।
২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা
এ বছরের অক্টোবরে সরকার দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে। সরকারি প্যাকেজ-১ অনুযায়ী খরচ নির্ধারিত হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৪২ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর জন্য খরচ পড়বে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
এ বছর বিমান ভাড়ায় কমানো হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার টাকা। তবে সরকারি প্যাকেজে খাবারের জন্য ৪০ হাজার টাকা এবং কোরবানির জন্য ৭৫০ সৌদি রিয়াল আলাদা করে নিতে হবে। গত বছরের মতো এবারও বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজ অনুসরণ করেই নিজেদের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি তারা বিমান ভাড়া আরও কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে।
হজ কোটা ফাঁকা থাকার কারণ
বিশ্লেষকদের মতে, এবার কোটা পূরণ না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হজ প্যাকেজের খরচ বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক মন্দা এবং সীমিত সময়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চাপ।
সংক্ষেপে হজ নিবন্ধনের পরিসংখ্যান:
সরকারি নিবন্ধন: ৪ হাজার ৭৫৯ জন
বেসরকারি নিবন্ধন: ৫৭ হাজার ৪৫৩ জন
সর্বমোট নিবন্ধিত: ৬২ হাজার ২১২ জন
ব্যাংকে টাকা জমা (প্রায়): ৮ হাজার জন
ফাঁকা কোটা: ৫৭ হাজার
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজের কোটা পূরণে সরকারের পরিকল্পনা এবং পরবর্তী সময়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সহজ করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
Nema komentara