close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশের একদল হিন্দু সম্প্রদায়ের কানাকানি হিন্দু পুলিশদের ঘটা ঘটনা..

সুভাষ মজুমদার avatar   
সুভাষ মজুমদার
বাংলাদেশের একদল হিন্দু সম্প্রদায়ের কানাকানি গত ৮/৯ মাসে পুলিশ প্রশাসনে হিন্দু পুলিশদের ঘটা ঘটনা..

গত ৮/৯ মাসে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা
পুলিশ কনস্টেবল তৃষ্ণা বিশ্বাস, রুম্পা দাশ, অনুপম কুমার ঘোষ, সেনা সদস্য কর্পোরাল দুর্জয় শীল দিলীপ, এবং পুলিশ অফিসার এএসপি পলাশ সাহা—
এরা সবাই  দেশের গর্ব, বাংলাদেশের সন্তান।
কিন্তু একে একে সবাই চলে গেলেন ‘আত্মহত্যা’ নামক সন্দেহজনক পর্দার আড়ালে এমন কানাকানি বর্তমান হিন্দু সমাজে খুবই ঘুরপাক খাচ্ছে। 

১. তৃষ্ণা বিশ্বাস (নারী কনস্টেবল, পটুয়াখালী)
 • ঘটনা: ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্সের নারী ব্যারাক থেকে তৃষ্ণা বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
 • পুলিশের বক্তব্য: আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 • পরিবারের বক্তব্য: তৃষ্ণা  সুস্থ ছিলেন বলে দাবি করেছেন স্বজনরা।    

২. রুম্পা দাশ (নারী কনস্টেবল, বান্দরবান)
 • ঘটনা: ২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বান্দরবান শহরের বনরুপা পাড়ায় নিজ ভাড়া বাসা থেকে রুম্পা দাশের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
 • পুলিশের বক্তব্য: আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 • পরিবারের বক্তব্য: পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।  

৩. অনুপম কুমার ঘোষ (কনস্টেবল, সাতক্ষীরা)
 • ঘটনা: ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকায় নিজ ভাড়া বাসা থেকে অনুপম কুমার ঘোষের গলায় গামছা প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
 • পুলিশের বক্তব্য: আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 • পরিবারের বক্তব্য: পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।   

৪. তপু দেবনাথ
 • ঘটনা: তপু দেবনাথের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
 • পুলিশের বক্তব্য: উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
 • পরিবারের বক্তব্য: উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

৫. কর্পোরাল দুর্জয় শীল দিলীপ (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী)
 • ঘটনা: ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল বনানী ক্যান্টনমেন্টে কর্পোরাল দুর্জয় শীল দিলীপের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
 • পুলিশের বক্তব্য: আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 • পরিবারের বক্তব্য: পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।   

৬. এএসপি পলাশ সাহা (র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম)
 • ঘটনা: ২০২৫ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের র‍্যাব-৭ কার্যালয়ে এএসপি পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
 • পুলিশের বক্তব্য: আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে; ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
 • পরিবারের বক্তব্য: পরিবারের  পক্ষ থেকে  কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।   

একজন সনাতনী সচেতন নাগরিকের কাছে প্রশ্ন করেছিলাম, 

বারবার সংখ্যালঘু অফিসাররাই এই রকম ‘মৃত্যু’র শিকার হচ্ছেন?
তাদের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হচ্ছে কিনা, সত্য প্রকাশ পাচ্ছে কিনা ?

আত্মহত্যা নাকি হত্যা? 

তিনি উত্তরে বলেন  এই প্রশ্ন রাষ্ট্রের কাছে, প্রশাসনের কাছে, সমাজের কাছে নিজেদের কাছে—
সংখ্যালঘু মানেই কি নিরাপত্তাহীনতা? নাকি তারা শুধু সংখ্যার মানুষ?—সত্যের তদন্ত, নিরপেক্ষ বিচার, এবং ন্যায়বিচার থেকে আত্মহত্যার গল্পে যেন আর কোনো তৃষ্ণা, রুম্পা, অনুপম, দুর্জয় বা পলাশ চাপা না পড়ে।” এটাই তাদের একমাত্র আশা। 

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator