মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে আয়োজিত যৌথ ব্রিফিংয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ড. ইউনূস যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে কাজ করছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর প্রচেষ্টা শুধু দেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আনছে না, বরং উন্নয়ন ও জনগণের আস্থাও বাড়াচ্ছে।”
আনোয়ার ইব্রাহীম আরও উল্লেখ করেন যে, মালয়েশিয়া সবসময় বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের পথে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ, এবং এখানকার স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য অপরিহার্য। ড. ইউনূসের মতো একজন অভিজ্ঞ ও বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বের নেতৃত্বে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
অন্যদিকে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার সহযোগিতার ইচ্ছাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। মালয়েশিয়ার এই সমর্থন আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান, এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করে দক্ষিণ এশিয়াকে আরও স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিকে দুই পক্ষই অগ্রাধিকার দিয়েছে।
এছাড়া, বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসনের গুরুত্ব নিয়েও মতবিনিময় হয়। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, ড. ইউনূসের অভিজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।