close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশে কেউ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রামে এক পথসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ—বাংলাদেশে কেউ যেন দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন। তিনি বলেন, নেতৃত্বের পুনরাবৃত্তি গণতন্ত্রকে ব্যাহত করে। জনগণের প্রত..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা আরোপের প্রস্তাবনা নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

আজ রোববার (২৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী এলাকায় আয়োজিত এক পথসভায় তিনি বলেন, “একই ব্যক্তি বারবার প্রধানমন্ত্রী হলে গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল হয়, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন বাধাগ্রস্ত হয়।”

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে নেতৃত্ব পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা গুরুত্ব পাবে এবং শাসকেরা জবাবদিহিতার মধ্যে থাকবে। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না—এমন একটি সাংবিধানিক সীমা নির্ধারণের সময় এখনই।”

নতুন বার্তা, নতুন রাজনৈতিক ধারা

এনসিপির এই নেতার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষার মূল শর্ত হচ্ছে নেতৃত্বের রোটেশন। বারবার একদল বা এক নেতার ক্ষমতায় থাকা মানেই রাষ্ট্রযন্ত্রের বিকৃতি। জনগণ পরিবর্তন চায়। আমরা সেই পরিবর্তনের রাজনীতি করছি।”

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য-সচিব ড. তাসনিম জারা। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত থাকবে। প্রশাসন হবে জনগণের সহযোগী, পুলিশের ভূমিকা হবে সেবামূলক—কোনো অবস্থাতেই তারা সরকারের লাঠিয়ালে পরিণত হবে না।”

গণসংযোগে নেতাকর্মীদের সরব অংশগ্রহণ

সভা শুরু হওয়ার আগেই এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা চাতরী চৌমুহনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। দোকানপাট, পথচারী ও বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেন দলের বার্তা সংবলিত লিফলেট। পথচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তারা সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন এবং এনসিপির অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

এই কর্মসূচিকে ঘিরে স্থানীয় এলাকাজুড়ে রাজনৈতিক তৎপরতা ও কৌতূহল বাড়তে দেখা গেছে। সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করে এনসিপির বক্তব্য শুনেছেন এবং কিছু প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন।

গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা ও বিকল্প নেতৃত্বের প্রশ্ন

সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দল ও নেতাদের প্রতি সাধারণ মানুষের একঘেয়েমি বাড়ছে বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। এনসিপির নেতারা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিকল্প নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছেন।

হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যে একটি বিষয় স্পষ্ট—তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ চায়, যেখানে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ই হবে একমাত্র মাপকাঠি, এবং নেতৃত্ব পর্যায়ক্রমে বদলাবে।

সভা শেষে নেতৃবৃন্দ জানান, তারা আগামী দিনগুলোতে সারাদেশে এমন পথসভা ও গণসংযোগ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন, যাতে জনগণের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং রাজনৈতিকভাবে এনসিপির অবস্থান সুদৃঢ় হয়।

Tidak ada komentar yang ditemukan