close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের প্রশাসন ‘খুব সামান্যই আগ্রহী’ , কুগেলম্যান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ট্রাম্প প্রশাসনের ‘অবহেলা’ ও চীন মোকাবিলার নামে অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর আশঙ্কা জানালেন বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান।..

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান এক স্পষ্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র গড়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সামান্যতম আগ্রহ’ও নেই।

তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশকে এখন দেখছে একটি কৌশলগত স্থান হিসেবে—যেখানে মূল লক্ষ্য হলো বাণিজ্যিক সুযোগ গ্রহণ এবং চীনকে প্রতিরোধ করা।

কুগেলম্যান আরও বলেন, বাইডেন প্রশাসনের শেষদিকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ দেখা গেলেও, ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর বিষয়টির গুরুত্ব কার্যত মুছে গেছে।

২০২4 সালের আগস্টে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার এবং জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রূপ ফেরানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তখন মার্কিন প্রশাসনের তরফে কিছু উন্নয়ন সহায়তা এবং কারিগরি সহযোগিতার আশ্বাসও এসেছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় ফিরতেই সেই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে বলেই কুগেলম্যানের পর্যবেক্ষণ।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক টেলিফোন সংলাপকে ঘিরে আলোচনায় উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবস্থান।
ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

কুগেলম্যান মনে করেন, এই নিরাপত্তা বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য চীনকে মোকাবিলা করা, আর সেটি করতে গিয়ে বাংলাদেশকে একরকম চাপের মুখে ফেলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চুক্তিতে না যায়, তবে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্কে পড়বে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ চাপের কারণ হতে পারে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। দেশটি কখনোই বড় শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতার অংশ হতে চায়নি।

কিন্তু কুগেলম্যান সতর্ক করেন, ওয়াশিংটনের এই নতুন কৌশল ঢাকা’র জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, অন্যদিকে চীনের সাথে সম্পর্ক—এই ভারসাম্য বজায় রাখা হবে কঠিন।

অধ্যাপক ইউনূস ও মার্কো রুবিওর মধ্যকার ফোনালাপকে কুগেলম্যান বলেন, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা। তিনি মনে করেন, এই সংলাপ থেকেই স্পষ্ট যে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য হবে ভূ-রাজনীতি ও নিরাপত্তা—গণতন্ত্র নয়।

বাংলাদেশের সামনে এক অজানা রাজনৈতিক বাস্তবতা। যুক্তরাষ্ট্র যদি গণতন্ত্র নয়, কেবল অর্থনীতি ও প্রতিযোগিতার কৌশলে সম্পর্ক গড়তে চায়, তবে দেশের জন্য সামনে অপেক্ষা করছে নানা কৌশলগত ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ।

Geen reacties gevonden