close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ: চীনা বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানালেন বেপজা চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান চীনের নিংবো শহরে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ‘সুবর্ণ সুযোগ’ অনুসন্ধান করতে আহ্বান জানিয়েছেন। সেমিনারটি ছিল বেপজা এবং নিংবো ডাস্যিঁয়ে চেম্বার অব কমার্সের যৌথ আয়োজনে, যেখানে অংশগ্রহণকারী প্রায় ১২০ জন ছিলেন।
মেজর জেনারেল রহমান বলেন, “বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এবং উন্নত অর্থনীতি বিশ্বের কাছে এক বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আমাদের দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে এক বিশাল তরুণ, দক্ষ ও শিক্ষিত শ্রমশক্তি রয়েছে, যা দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।” তিনি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ইপিজেড এবং বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের খরচ-effective এবং প্রশিক্ষণযোগ্য শ্রমশক্তি, এবং বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম শ্রমিক মজুরি এদেশে বিনিয়োগের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় দিক। তিনি বলেন, “আমাদের সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য এক অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ নীতিমালা ক্রমাগত উদারীকরণ করছে, যাতে ব্যবসা পরিচালনা আরও সহজ হয়।”
তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, “আমরা চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে একটি বৃহৎ বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন করছি, যেখানে ইতোমধ্যে ৪১টি প্রতিষ্ঠান শিল্প স্থাপন করবে। এছাড়া যশোর, পটুয়াখালী ও গাইবান্ধায় তিনটি নতুন ইপিজেড স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে, যা ২০২৫ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে।”
সেমিনারে নিংবো ডাস্যিঁয়ে চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী পরিচালক মি. চাও চুইং চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “চীন বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে। বিশেষত, পাট এবং চামড়া শিল্প থেকে শুরু করে ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পরিবেশ রক্ষার মতো নতুন ক্ষেত্রেও আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।”
এদিকে, নিংবো ডাস্যিঁয়ে চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি জেনারেল মিজ. চাও মু জি সেমিনারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এ ধরনের সেমিনার চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দেয়।”
উল্লেখ্য, বেপজাধীন ইপিজেড এবং বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে ৩৮টি দেশের বিনিয়োগকারীরা মোট ৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন, যেখানে ৪৪৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর মধ্যে চীনা বিনিয়োগকারীরা ১০৭টি ইউনিট স্থাপন করেছেন, যার মাধ্যমে ১ লাখ ৩৩ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
শেষে, মেজর জেনারেল রহমান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে চীন এবং বাংলাদেশের সহযোগিতা আরও বেড়ে যাবে, যা দুদেশের জন্যই লাভজনক হবে।
Ingen kommentarer fundet



















