close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশে আধিপত্যবাদ ও দখলবাজদের স্থান হবে না”: জামায়াত আমিরের দৃঢ় বার্তা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর: জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, “বাংলাদেশে কোনোভাবেই আধিপত্যবাদ ও দখলবাজদের স্থান হবে না।” তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ কখনোই এই ধ
ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর: জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, “বাংলাদেশে কোনোভাবেই আধিপত্যবাদ ও দখলবাজদের স্থান হবে না।” তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ কখনোই এই ধরনের অপশক্তির কাছে মাথানত করবে না এবং এসব শক্তিকে চিরতরে বিতাড়িত করবে। জামায়াত নেতার দাবি, বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও সাম্যবাদী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জনগণ একত্রিত হয়ে কাজ করবে। আজ এক বিবৃতিতে ড. শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় জনগণের ভূমি দখল ও জমি নষ্টের ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, সরকারী সংস্থাগুলির একদম আশ্রয়ে থাকা দখলবাজরা এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিকের ভূমি এবং সম্পত্তির অধিকার রক্ষা করা সরকারের মূল দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমান সরকার এসব অধিকারকে উপেক্ষা করে দখলবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এর বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ড. শফিকুর রহমান বলেন, "জামায়াতের কর্মী ও সমর্থকরা কখনোই এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড মেনে নেবে না। আমাদের আন্দোলন শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, এটি দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম।" তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে আধিপত্যবাদ, দুর্নীতি ও দখলবাজি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যারা দেশের স্বাধীনতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে।" এইসময় তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানান, যাতে তারা দখলবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াত আমিরের এই বক্তব্য একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা, যেখানে তিনি দেশের ভেতরে চলমান অস্থিরতা ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একাত্মতার আহ্বান জানিয়ে থাকেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল নিয়ে চলমান সমস্যাগুলির বিষয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রতিবেদন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এবং জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জামায়াতের এই বার্তা রাজনৈতিকভাবেও গুরুত্ব বহন করে এবং এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
Nema komentara