close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্র বা মার্কিন "ডিপ স্টেট"-এর কোনও ভূমিকা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মোদি-ট্রাম্প বৈঠক: দ্বিপাক্ষিক আলোচনার গুরুত্ব
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এটি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাণিজ্য, অভিবাসনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে মোদি ও ট্রাম্প এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন, যেখানে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের জবাব
একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, “আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট জড়িত ছিল। সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) বৈঠকেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহলে বাংলাদেশ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?”
এর উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দেন, “না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনো ভূমিকা ছিল না। বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানের ভার আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির ওপর ছেড়ে দেব।”
ট্রাম্পের এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে মোদির বক্তব্য
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত আরও একটি বিষয় ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “অনেকেই হয়তো বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু এটি সত্য নয়। ভারত এখানে শান্তির পক্ষ নিয়েছিল।”
তার এই মন্তব্য ভারতের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও সুসংহত করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি ও অভিবাসন ইস্যু
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আকর্ষণীয় একটি বাণিজ্য চুক্তি হতে চলেছে। এটি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, “ভারত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেবে।”
বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলমান গুঞ্জনের অবসান ঘটাবে। তবে ভারতকে বাংলাদেশের বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
Aucun commentaire trouvé