close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশ–লাগোয়া ধুবড়িতে ‘দু'ষ্কৃ'ত'কা'রী'দে'র’ দেখামাত্র গু'লি'র নির্দেশ আসামের মুখ্যমন্ত্রীর..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশ লাগোয়া আসামের ধুবড়ি জেলায় সম্প্রতি উত্তেজনার পারদ চরমে। মন্দিরে মাংস পাওয়া ও সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ‘দুষ্কৃতকারীদের দেখামাত্র গুলির’ ন..

বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলায় সাম্প্রতিক সময়ের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। ধর্মীয় স্পর্শকাতর ইস্যুতে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ‘দুষ্কৃতকারীদের দেখামাত্র গুলির’ নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ৯ জুন ধুবড়ি জেলার একটি হনুমান মন্দিরের কাছ থেকে এক প্রাণীর দেহাবশেষ উদ্ধারের পর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তীব্র উত্তেজনা। স্থানীয় হিন্দু জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে, যা পরবর্তীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই ঘটনার জেরে শুক্রবার (১৩ জুন) ধুবড়ি সফর শেষে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সংবাদ সম্মেলনে জানান, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড বা বিশৃঙ্খলাকারীদের দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "আমি গৌহাটিতে ফিরে গিয়ে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করবো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বলেছি, আর কোনো রকম সহনশীলতা নয়।"

বিশ্বশর্মা দাবি করেন, এই অশান্তির পেছনে রয়েছে একটি ‘বিদেশি চক্র’। তাঁর ভাষায়, ঈদের আগের দিন ‘নবীন বাংলা’ নামের একটি সংগঠন ধুবড়িকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দাবি করে পোস্টার লাগিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এই গোষ্ঠী একটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আসামের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে।”

বিশ্বশর্মা আরও অভিযোগ করেন, ঈদকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর গবাদিপশু ধুবড়িতে আনা হয়েছে। তার ভাষায়, “ধুবড়িতে একটি ‘গরুর মাফিয়া চক্র’ গড়ে উঠেছে যারা উৎসবের আগেই হাজার হাজার গরু সংগ্রহ করেছে। এটা শুধু ধর্মীয় উদ্দেশ্যে নয়, বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।”

এই ‘মাফিয়া চক্র’কে ধরতে পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) এবং আধাসামরিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা রয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বশর্মার ঘোষণা অনুযায়ী, “আগামী ঈদের দিন আমি নিজে ধুবড়িতে থাকব। পরদিনও সেখানেই অবস্থান করব। যারা বারবার অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের জন্য কোনো সহানুভূতি নেই।”

আসামের আগামী বিধানসভা নির্বাচন ৯-১০ মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের কঠোর ঘোষণাগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত। বিরোধী নেতারা বলছেন, বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে নির্বাচনী ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে।

এক বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, “গত এক বছর ধরে বিজেপি নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে হিন্দু ভোটকে সংহত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই ধরনের বিতর্কিত নির্দেশ ও মন্তব্য সেই পরিকল্পনারই অংশ।”

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator