close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্টকে যুগোপযোগী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের ঘোষণা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Bangladesh Climate Change Trust (BCCT) is set to undergo a 10-year strategic transformation to become a modern, self-reliant and efficient institution, announced Advisor Syeda Rizwana Hasan.

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, বিসিসিটিকে দক্ষ ও আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নেওয়া হচ্ছে ১০ বছর মেয়াদি স্ট্র্যাটেজিক পরিকল্পনা।

 

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় গঠিত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট (বিসিসিটি)–কে একটি দক্ষ, স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং যুগোপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে যাচ্ছে সরকার। এই লক্ষ্যে শীঘ্রই প্রণয়ন করা হবে একটি ১০ বছর মেয়াদি স্ট্রাটেজিক পরিকল্পনা, যা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত বিসিসিটি কার্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকারি ট্রাস্ট হিসেবে বিসিসিটির গুরুত্ব অনেক। তাই এর কার্যক্রম আরও দক্ষ, স্বচ্ছ এবং বিজ্ঞানভিত্তিক করতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।

তিনি জানান, ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের পেটেন্ট অধিকার সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে করে গবেষণার ফলাফল ও উদ্ভাবন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পাবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠবে।

উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য রিয়েল টাইম ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপ সরাসরি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং এর ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

সভায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বিসিসিটির জনবলকে আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ ও কর্মক্ষম করে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই প্রতিষ্ঠান যদি নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”

তিনি বিসিসিটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা জনকল্যাণে কাজ করছেন। আপনাদের কাজের স্বচ্ছতা, সততা এবং দায়বদ্ধতা দেশের পরিবেশ আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, বিসিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী মো. ওয়ালি উল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিসিসিটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীবৃন্দ।

এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে বিসিসিটি হবে একটি আন্তর্জাতিক মানের জলবায়ু প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশের জলবায়ু নীতিকে আরও শক্তিশালী ভিত্তি দেবে।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি