close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণহত্যার বিচার ও শহীদদের জন্য ঐক্যের ডাক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫: বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে সংগঠনটির
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫: বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা শক্তিশালী কণ্ঠে দেশব্যাপী শহীদদের বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। সমাবেশে ঐতিহাসিক জুলাই গণহত্যার বিচারসহ একাধিক জাতীয় দাবির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে ছাত্র ফেডারেশন দেশবাসীকে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করেছে যে, তাদের দাবিগুলো অন্যায্য নয়, বরং এটি দেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার এবং নৈতিক দায়িত্ব। ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতার, শ্যামলী শীল, ফাতেমা রহমান বিথী, আল-আমিন শেখ, ফারহানা মুনা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও গণহত্যার বিচার শুরু হয়নি, শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হয়নি এবং আহতরা এখনও তাঁদের প্রাপ্য সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সরকারের উচিত দ্রুত এসব বিষয় নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই এবং এর জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।” তাসলিমা আখতার তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা চাই না আরেকটি ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হোক। আমাদের তরুণ সমাজের কাছে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে, যাতে তারা দেশের মানুষের অধিকারের পক্ষে কাজ করতে পারে।” এছাড়াও, জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে আহত এক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মো. জামাল হোসেন জানান, “আজ পাঁচ মাস পার হয়ে গেছে। আমি শারীরিকভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হলেও যথাযথ চিকিৎসা পাইনি। খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।” সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, “আমরা সকল শহীদদের অসম্মান করার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। যারা ১৯৭১ সালে শহীদদের অসম্মান করতে চায়, তাদের পরাস্ত করবো। যারা জুলাই গণহত্যায় জড়িত, তাদেরও পরাজিত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “অভ্যুত্থানের শক্তিকে গোষ্ঠীগত স্বার্থে ব্যবহার না করে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠনের জন্য দাবী জানিয়ে আসছি। কিন্তু কিছু ছাত্র নেতা নিজের স্বার্থে ঐক্য ভেঙে ফেলেছেন। অভ্যুত্থান যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।” এদিনের সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাবেক এবং বর্তমান নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন, যারা সংগঠনটির দীর্ঘ ইতিহাসের অংশ হিসেবে একত্রিত হয়ে এই দাবিগুলোর প্রতি সমর্থন জানান। সমাবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন তার ৪০ বছরের ইতিহাসে গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পক্ষে আরও একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং তা দেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণের প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে।
Nessun commento trovato