close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকার খুলতে দুদকের অনুমতি, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ রায়

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের লকার খোলার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ সংক্রান্ত আদে
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের লকার খোলার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ সংক্রান্ত আদেশ দেন। এর ফলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সেইফ ডিপোজিট লকার তল্লাশির পথে আর কোনো বাধা থাকল না। দুদকের আবেদনের পর আদালতের আদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, আদালত একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খোলার অনুমতি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে, রোববার (২৮ জানুয়ারি) লকার খোলার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান। আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেফ ডিপোজিট তল্লাশির সময় দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা সিলগালা করা অবস্থায় সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এতে দুদকের সন্দেহ, এসব সিলগালা কৌটায়ও অবৈধ সম্পদ থাকতে পারে। দুদকের তদন্তে নতুন মোড় দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে থাকা কিছু লকারের মধ্যে সন্দেহজনকভাবে সংরক্ষিত সিলগালা কৌটাগুলোতে গোপন সম্পদের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কমিশন আদালতে আবেদন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেফ ডিপোজিটসমূহ তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট তৈরির অনুমতি চায়। আদালতের আদেশের ফলে দুদক এখন তাদের তদন্ত কাজ আরও গভীরভাবে পরিচালনা করতে পারবে। কী হতে পারে পরবর্তী পদক্ষেপ? বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার খুলে তল্লাশি চালানোর মাধ্যমে দুর্নীতি সংক্রান্ত নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দুদক এখন আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খুলবে এবং এর ভেতরে থাকা সম্পদের একটি তালিকা তৈরি করবে। যদি অবৈধ বা অপ্রদর্শিত সম্পদের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। দেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে আদালতের এই রায়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। দুদকের এই উদ্যোগ দেশের ব্যাংকিং খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments found


News Card Generator