বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় এক দশম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত।
১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। ঘটনাস্থল ছিল চান্দু মোল্লার বাড়ির সামনে।
অপহৃত ছাত্রীর মা সাথী আক্তার বলেন, 'আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে বখাটে যুবক সালমান খান হৃদয় দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছিল।' এই প্রেক্ষিতে তিনি আদালতে মামলা করেছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে হৃদয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সে আর বিরক্ত করবে না। কিন্তু এরপরও সে এবং তার সহযোগীদের দিয়ে তার মেয়েকে পুনরায় ইভটিজিং করে।
অপহরণের দিন, ছাত্রীর নানা জাহাঙ্গীর মিয়া হৃদয় ও তার পিতার দ্বারা মারধরের শিকার হন। এ কারণে, সাথী আক্তার তার মেয়েকে স্কুলে এবং স্কুল থেকে নিয়ে আসতে বাধ্য হন।
১০ জুলাই দুপুরে পরীক্ষা শেষে সাথী আক্তার তার ভাইগ্না কাওসারের মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা হৃদয় ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং মেয়েটিকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। কাওসারকে মারধর করে তার মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা সাথী আক্তার বানারীপাড়া থানায় ছাত্রদল নেতা তামজিদ নুসায়ের মিরন সরদারসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা জানান, 'অপহরণের ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।'
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ ধরনের ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে তারা আশাবাদী।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা সমাজে নারীদের নিরাপত্তার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক আইনি ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।