কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর পুরানগাঁওয়ের দক্ষিণপাড়ায় অবস্থিত ইস্কান্দর মির্জা মাঠে, মরহুম ইস্কান্দর মির্জার স্মরণে আয়োজিত সিজন ২ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইয়ংস্টার ফ্রেন্ড ক্লাব ও বন্ধুমহল একাদশ।
৬০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের খেলায় গোলশূন্য ড্র হওয়ায় ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে বন্ধুমহল একাদশ ৩-১ গোলে ইয়ংস্টার ফ্রেন্ড ক্লাবকে পরাজিত করে শিরোপা অর্জন করে।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সাবেক ফুটবলার ও বাজিতপুর রাজ্জাকুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মো. এনায়েতুল্লাহ রেনু। নিরপেক্ষ ও সুশৃঙ্খলভাবে ম্যাচ পরিচালনার জন্য তিনি দর্শক ও খেলোয়াড়দের প্রশংসা অর্জন করেন।
খেলা শেষে বিজয়ী দলের অধিনায়ক মো. রাব্বির হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। রানার্সআপ ইয়ংস্টার ফ্রেন্ড ক্লাবের অধিনায়ক মো. শাহ-আলমের হাতে তুলে দেওয়া হয় রানার্স আপ ট্রফি। এছাড়া অসাধারণ খেলার স্বীকৃতি হিসেবে মো. লাদেনকে দেওয়া হয় “ম্যান অফ দ্য ম্যাচ” পুরস্কার।
ফাইনাল খেলায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য পুরস্কার হিসেবে একটি ছাগল প্রদান করা হয়, যা স্থানীয় দর্শকদের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ সৃষ্টি করে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরারচর শিবনাথ স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক মো. রতন মোল্লা, সাবেক সেনা সদস্য মো. করিম শাহ, ক্রীড়াবিদ জমশেদ মিয়া, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষক পলাশ মাস্টার, সুমন মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
খেলা দেখতে মাঠে ভিড় জমায় কয়েক শতাধিক ক্রীড়াপ্রেমী দর্শক। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণরাও উপভোগ করেন প্রাণবন্ত এই ম্যাচটি। করতালি, চিৎকার আর উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মাঠ এলাকা।
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, মরহুম ইস্কান্দর মির্জার স্মরণে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। তার অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ এবং এলাকার যুব সমাজকে খেলাধুলায় আগ্রহী করে তোলাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
খেলার শুরুতে মরহুম ইস্কান্দর মির্জার আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।