close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বাহুবলে সড়কজুড়ে বালুর স্তুপ: জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা..

Abdul malek Sumon avatar   
Abdul malek Sumon
বাহুবলে সড়ক দখল করে অবৈধ বালুর ব্যবসা, যান চলাচলে বিঘ্ন ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি।..

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার হামিদনগর-চলিতাতলা সড়কে অবৈধভাবে বালুর স্তুপ গড়ে তোলার কারণে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সড়কের উপর বালুর স্তূপের কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং পথচারীদের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় টমটম চালক ও পথচারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কে বালুর স্তূপ রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আহাদ মিয়া, ফারুক মিয়া ও ইব্রাহিম মিয়া। এর ফলে বাইপাস সড়ক থাকা সত্ত্বেও মহাসড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন সবাই।

 

ফতেহপুর গ্রামের সফিক মিয়া, এক সিএনজি যাত্রী, জানান, 'বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।' তিনি এবং অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

বালু ব্যবসায়ী আহাদ মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কাজের জন্য সাময়িকভাবে বালু রাখা হয়েছিল। আমরা বালু সরিয়ে ফেলছি।'

 

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গিয়াস উদ্দীন জানান, 'সড়ক বন্ধ করে বালুর ব্যবসার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' প্রশাসনের এই হস্তক্ষেপের আশ্বাসে এলাকাবাসী কিছুটা আশ্বস্ত হলেও অবৈধ বালু ব্যবসার কারণে সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সমাধান চায় তারা।

 

এই ঘটনাটি বাহুবলের পরিবহন নিরাপত্তায় একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। সড়কে অবৈধ ভাবে বালু রাখার কারণে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, তেমনি অন্যদিকে জনজীবনও বিপর্যস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। এই ঘটনা ভবিষ্যতে সড়ক নিরাপত্তা ও অবৈধ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক তৎপরতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।

 

Nema komentara