বাড্ডা প্রতিনিধি :
রাজধানীর বাড্ডার গুদারা ঘাট ৪ নম্বর গলিতে রবিবার রাত ১০টা ৬ মিনিটে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বিএনপি নেতা ও ডিশ-ইন্টারনেট ব্যবসায়ী কামরুল হাসান সাধনকে। প্রাথমিক তদন্তে এইটি ‘পূর্বপরিকল্পিত হত্যা’ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়, যেখানে দেখা যায়—দুইজন সশস্ত্র যুবক পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা জানান, গুলির শব্দ শুনে অনেকে ছুটে আসেন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় সাধনকে উদ্ধার করে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, 'সাধন নামের একজন ব্যক্তিকে গুলি করে দুজন ব্যক্তি আইসা। গুদারাঘাট ৪ নাম্বার রোডে ১০ঃ০৬ মিনিটে। আমরা চেষ্টা করছি কারা করেছে তাদের ধরার জন্য।'
তিনি আরও জানান, নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা—সবগুলো দিকই তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত কামরুল হাসান সাধন দীর্ঘদিন ধরে বাড্ডা এলাকায় ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। এলাকায় তার একটি প্রভাবশালী অবস্থান ছিল, যা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। তাদের ধারণা, আধিপত্য বিস্তার এবং ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গুদারা ঘাট এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
রাজধানীর বুকে প্রকাশ্যে একজন রাজনৈতিক নেতাকে গুলি করে হত্যা শুধু একটি ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এটি নগরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা—সবগুলো দিকই তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।



















