close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ১৬ বছরের আইনি লড়াই শেষে সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনের পর শুরু হওয়া আইনি প্রক্রিয়ার পরিসমাপ্তি ঘটে নাইকো মামলায় খালাসের মাধ্যমে। এর ফলে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৭টি মামলার সবগুলোতেই তিনি খালাস পেলেন।
৩৭ মামলার শেষ অধ্যায়:
২০০৭-২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের হয় ১৩টি মামলা। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আরও ২৪টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় ছিল দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ, মানহানি, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তবে সবশেষে সেগুলোও বাতিল হয়।
দীর্ঘ কারাবাস ও মুক্তি:
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি কারাভোগ করেন দুই বছর এক মাস ১৬ দিন। করোনাকালে শর্তসাপেক্ষে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়, কিন্তু বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে একের পর এক মামলা থেকে খালাস পেতে থাকেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার:
বিএনপির আইনজীবীরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন, সব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে সব মামলা দায়ের হয়েছিল, সেগুলো ভিত্তিহীন ও প্রমাণহীন। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ চারজনকে খালাস দেয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়া খালাস পান।
গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা: সব মামলায় আদালত খালেদা জিয়াকে বেকসুর খালাস দেয়।
রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার ১১ মামলা: হাইকোর্ট থেকে বাতিল ঘোষণা।
পাঁচটি মানহানি ও কটূক্তির মামলা: ঢাকার সিএমএম আদালত খালাস দেয়।
বর্তমান অবস্থান:
রাজনৈতিক এই নেত্রী বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন, যেখানে তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের সাথে আছেন। বয়সজনিত নানা শারীরিক জটিলতার কারণে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন:
খালেদা জিয়ার এই মামলামুক্তি দেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে বিএনপি আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে।
এই রায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়া আবারো রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কি? আপনার কী মতামত?
সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন!
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















