নিশাত জাহান নিশি:ঢাকার উপকণ্ঠ সাভার উপজেলার আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনদুর্ভোগের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, মনির মৃধা ওরফে 'ময়লা মনির' নামে পরিচিত এক ব্যক্তি আবাসিক এলাকাতেই ময়লার গাদাগাদি করে গড়ে তুলেছেন ব্যবসার অস্থায়ী ডিপো, যা থেকে প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃধা বাড়ি সংলগ্ন একটি ধর্মীয় ও আবাসিক এলাকায় প্রতিদিন ময়লা ফেলে যাওয়া হয়। যেখানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, মৃত্যুর পর মানুষকে দাফন করা হয়—সেই পবিত্র স্থানেই এই বর্জ্য ডিপো পরিচালিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, চাঁদা প্রদান না করলে সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করে দেন মনির মৃধা। ফলে চাঁদার নামে সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর একপ্রকার ‘জোরপূর্বক চাপ’ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
সূত্র মতে, মনির মৃধা এক সময় স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর অভিযোগ উপেক্ষা করে চলেছেন বলে দাবি অনেকের।
সম্প্রতি এই ময়লার ব্যবসাকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বিএনপি নেতা সালাম মৃধা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ময়লা ময়লা ওরফে ময়লা মনির মৃধা বাঁশ দিয়ে এলাকা ঘিরে দেন, যাতে অন্য কেউ ময়লা ফেলতে না পারে। পাল্টা এলাকাবাসী বেড়া ভেঙে রাতে জোরপূর্বক ময়লা ফেলে রেখে যান।
ফলে পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ দুর্গন্ধ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি। শিশুসহ বয়স্করা শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা সতর্ক করেছেন।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন—“রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বলি হতে হবে কেন সাধারণ মানুষকে?”
তাদের দাবি, দ্রুত এই অবৈধ বর্জ্য ব্যবসা বন্ধ করে, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
#আশুলিয়া #ময়লা_মনির #জনদুর্ভোগ #পরিবেশ_দূষণ #চাঁদাবাজি #রাজনৈতিকদ্বন্দ্ব #মানুষেরজন্যকথা #নিউজউইথনাজমুল



















