আপনি দয়া করে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন দিন, বিদায় নেন- জাতিকে বাঁচান: ড. ইউনূসকে আনিস আলমগীর..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
In a Facebook post, journalist Anis Alamgir urged Dr. Muhammad Yunus to ensure a fair election and step down with dignity. He criticized the involvement of extortionists in political activities and ca..

আনিস আলমগীর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ড. ইউনূসকে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, আর চাঁদাবাজদের দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা হয় না।

সাংবাদিক ও বিশিষ্ট কলাম লেখক আনিস আলমগীর সম্প্রতি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে একটি স্পষ্ট ও তীব্র বার্তা দিয়েছেন। তিনি ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ড. ইউনূসকে পরামর্শ দেন, “আপনি দয়া করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন, তারপর নিজে বিদায় নিন—এটাই হবে জাতির জন্য সবচেয়ে বড় উপকার।”

রবিবার (২৭ জুলাই) দেওয়া এই স্ট্যাটাসে আনিস আলমগীর বলেন, “আজ ড. ইউনূস তৃতীয় দফা অনেক খুচরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশে বসে বক্তৃতা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘পতিত শক্তি’ নাকি গণ্ডগোল সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। এই অপচেষ্টা ঠেকাতে তিনি ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।”

আনিস আলমগীরের মতে, এই বক্তব্যে স্পষ্ট দ্বিচারিতা রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন—“আসলে কারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়? উনি কাদের দায়ী করছেন? আওয়ামী লীগ কি চায় না নির্বাচন হোক? নাকি উনার প্রিয় রাজনৈতিক অংশীদাররাই আসলে নির্বাচন চায় না?” তিনি এই বক্তব্যে ড. ইউনূসের স্বচ্ছতার অভাব দেখেছেন।

স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করা হয়, একই দিনে ড. ইউনূসের একজন ‘সমন্বয়ক’ কোটি টাকার চাঁদা নিতে গিয়ে সাঙ্গাতসহ ধরা পড়েছেন। আনিস আলমগীর জানান, এই চাঁদাবাজ ব্যক্তি আবার ফেসবুকে লিখে থাকেন, “ডিসেম্বরে কিসের ভোট? বিম্পি তো মাদার চো*।” এমনকি তার স্ট্যাটাসে লেখা থাকে—“পাতার নাম পুদিনা, বিএনপিরে তুদি না।”

এই প্রসঙ্গ টেনে আনিস আলমগীর বলেন, “একদিকে গণতন্ত্রের কথা, অন্যদিকে অশ্লীলতা, চাঁদাবাজি—এই দ্বিমুখী আচরণই প্রমাণ করে, কারা আসলে দেশের রাজনীতিকে নোংরা করছে।”

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশে তিনি বলেন, “শুনুন বদ্দা, আপনি দয়া করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিন, তারপরে বিদায় নেন—এটাই হবে জাতির জন্য মঙ্গল। আপনাকে যদি আন্দোলন করে বিদায় করতে হয়, সেটা শুধু আপনার জন্য অপমানজনক হবে না—পুরো জাতিকেই বিশ্ব দরবারে লজ্জায় ফেলবে।”

শেষে আনিস আলমগীর আরও বলেন, “আপনার প্রোপাগান্ডা টিম বিলিয়ন ডলার খরচ করে আপনাকে এমন এক বিশ্ব ইমেজ বানিয়েছে, যাতে বিদেশিরা আমাদের কথা বিশ্বাস করে না। আপনি এখনই সম্মানের সাথে বিদায় নিলে সেটা হবে আমাদের জন্য মুক্তির পথ।”

এই বক্তব্যে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে—দেশের একজন গণ্যমান্য সাংবাদিক হিসেবে তিনি গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও মর্যাদাপূর্ণ রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সেইসঙ্গে, তিনি দ্বিচারিতা ও রাজনৈতিক সুবিধাবাদকে তুলে ধরেছেন সাহসিকতার সঙ্গে।

Hiçbir yorum bulunamadı