close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আওয়ামী লীগকে সহযোগিতাকারীও অপরাধী ,অ্যাটর্নি জেনারেল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সত্তা, তার সহযোগীরাও অপরাধী। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, সংবিধান সংশোধনে খুলে দেওয়া হবে দরজা।..

শনিবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এক দিকপাল্টা মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সত্তা। যারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে এই সত্তার সঙ্গে যুক্ত, তারা অপরাধের অংশীদার।” তিনি আরও জানান, এই অপরাধের জন্য আইনের যথাযথ বিধান রয়েছে, এবং সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আসাদুজ্জামান তার বক্তব্যে এও জানান যে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ শক্তির বিরুদ্ধে সকলের ঐক্য থাকা উচিত। “আমরা ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, বলে দাবি করেন তিনি।

ছায়া সংসদের এক প্রশ্নের উত্তরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।” এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি, যা নির্বাচনী সংস্কৃতিতে নতুন দিশা দিতে পারে।

অ্যাটর্নি জেনারেল সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গে বলেন, সংবিধান নতুন করে লেখা যেতে পারে। এতে কোনো আপত্তি নেই। তবে আমাদের সংবিধান মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে লেখা ১৯৭২ সালের সংবিধান। এটি এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা সংবিধান। কিছু বিতর্কিত সংশোধনী বাদ দিয়ে সংবিধানকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করা সম্ভব।

এছাড়া মব কালচার বা জনসমষ্টির রোষের বিষয়ে তিনি বলেন, মব কালচার বিচার বিভাগের প্রতি অবিশ্বাস নয়, বরং দীর্ঘ ১৭ বছরের অবিচারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। আমরা এই ক্রোধ প্রত্যাশা করিনা।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “মব কালচার দেশের অর্জনগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, তাই এটি বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।

অ্যাটর্নি জেনারেলের এসব মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক ও বিচারব্যবস্থায় নতুন এক প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কঠোর অবস্থান নেয়ার সংকল্প রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ভুল পথে গেলে বা আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উত্থাপন করেছেন তিনি।

ছায়া সংসদে অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতি ও তার স্পষ্ট ভাষণ দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আইনের অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করার ইঙ্গিত বহন করে। ভবিষ্যতে এই বক্তব্যের প্রভাব রাজনীতিতে কী রকম হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

कोई टिप्पणी नहीं मिली