close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আওয়ামী লীগকে নিষি দ্ধের দাবি: শাহবাগের উ ত্তাপ ছড়াল সারজিস আলমের স্ট্যাটাসে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শাহবাগের আন্দোলনে নতুন উত্তেজনা—আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী দল ঘোষণা করে নিষিদ্ধের আহ্বান জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক সারজিস আলম। সঙ্গে রয়েছে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দাবি।..

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন উত্তপ্ত, তখন বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয় এবং শাহবাগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে আরও তীব্র করে তোলে।

সারজিস আলমের উল্লেখিত তিনটি দাবি হলো—
১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও গণহত্যাকারী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলগত বিচারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করে আওয়ামী লীগের বিচার চালু করতে হবে।
৩. তথাকথিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ অবিলম্বে জারি করতে হবে।

এই দাবিগুলোর মধ্য দিয়ে সারজিস আলম মূলত একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার মতে, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের মতো “গণহত্যাকারী দল” নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবি।

এর আগে আরও একটি স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লিখেছিলেন, “বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন ব্যতীত দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে অবস্থান করছে।” এই মন্তব্যে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলমান শাহবাগ আন্দোলনে বিএনপি সরাসরি অংশ না নিলেও, আন্দোলনের সুর ও লক্ষ্য তাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “বিএনপি ফিরে আসবে এবং জুলাইয়ের ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ এখন কেবল বিএনপির অপেক্ষায়।”

তার এই বক্তব্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনসিপি ভবিষ্যতের রাজনীতিতে বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ কার্যক্রমের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।

সারজিস আলম তার ফেসবুক পোস্টে শেষ মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন,
“আজকের এই শাহবাগ ইতিহাসের অংশ এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির মানদণ্ড।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য কেবল এক ব্যক্তির মতামত নয়, বরং আন্দোলনের ভেতরে থাকা বৃহত্তর রাজনৈতিক আবেগের প্রতিফলন। বিশেষ করে যখন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, গণতন্ত্র, এবং মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ, তখন সারজিস আলমের এমন দাবি রাজনৈতিক পরিসরে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

একই সাথে এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ বলছেন এটি স্রেফ রাজনৈতিক স্ট্যান্স, কেউ আবার এটিকে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানি হিসেবেও দেখছেন। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার—সারজিস আলমের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শাহবাগ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

没有找到评论