জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হলে তা জনগণ ও তার দল গ্রহণ করবে না। মিথ্যা মামলা ও দমন-পীড়নের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার নামে এক বা একাধিক দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখলে সেই ভোট জনগণের কাছে বৈধতা হারাবে।
বুধবার বিকেলে ঢাকার কাকরাইলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা জেলা শাখার এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জিএম কাদের বলেন, “যখন আওয়ামী লীগ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল, তখন আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। আজও বলছি—আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন আয়োজন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তার ও তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। “একজন অপরাধীকে শাস্তি দিতে গিয়ে দশজন নির্দোষ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। বাড়িঘর ও অফিসে আগুন দিয়ে, মামলা-হামলা করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না,”—বলেন তিনি।
জিএম কাদের আরও বলেন, “আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলছি, সরকারের অন্যায় ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছি। ঝুঁকি নিয়েও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের ভয়ে আমরা পিছিয়ে যাবো না।”
সম্প্রতি জাতীয় পার্টির আরেক অংশ নির্বাচন কমিশনে ‘লাঙ্গল’ প্রতীক পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জিএম কাদের বলেন, “আমাদের লাঙ্গল প্রতীক অন্য কাউকে দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা রাজপথে কঠোর আন্দোলন করব। জাতীয় পার্টির প্রকৃত নেতৃত্ব তারাই, যারা দলের জন্য বাস্তবিক ভূমিকা রাখে।”
তিনি দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির মর্যাদা ও ঐতিহ্য রক্ষা করা হবে। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে, কারণ জনগণের ভোটাধিকারই গণতন্ত্রের ভিত্তি।