গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করেও নিঃস্ব হাতে ফিরছে মানবতা, জাতিসংঘ বলছে—এখনও শুরু হয়নি সহায়তা বিতরণ
১১ সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ গাজায় অবশেষে ত্রাণবাহী ট্রাক সীমান্ত পার হয়ে প্রবেশ করলেও একবিন্দু সহায়তাও পৌঁছায়নি সাধারণ মানুষের হাতে। জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতির পর মঙ্গলবার কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে গাজায় ঢোকে ৯৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে ছিল আটার বস্তা, শিশুদের খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ।
কিন্তু জাতিসংঘ নিশ্চিত করেছে, এসব ত্রাণ এখনও পর্যন্ত একটি প্যাকেটও বিতরণ করা যায়নি। কারণ, ত্রাণগুলো সীমান্ত পেরোলেও তা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের গুদাম বা বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছাতে পারেনি।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন,
“আমাদের দল ইসরায়েলের অনুমতির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা ত্রাণ সরবরাহগুলো আমাদের গুদামে নিয়ে আসতে পারেনি। ফলে সহায়তা বিতরণ এখনও শুরুই হয়নি।”
বিশ্বজুড়ে যখন গাজার লাখো মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তার আহ্বান চলছে, তখনও এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে কার্যকরভাবে কোনো মানবিক সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ইসরায়েলের ‘আংশিক অনুমতি’ কি কৌশলী বিলম্ব?
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তারা ‘প্রাথমিকভাবে কিছু খাদ্য সামগ্রী গাজায় প্রবেশের অনুমতি’ দিয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি কৌশলী চাল হতে পারে—আন্তর্জাতিক চাপ প্রশমনের জন্য সামান্য সহানুভূতির ইঙ্গিত দিলেও কার্যত পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়নি।
একাধিক আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, গাজায় অচিরেই দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। একদিকে খাদ্যের মজুদ ফুরিয়ে আসছে, অন্যদিকে চিকিৎসাসেবা ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে আক্রান্ত হচ্ছে লাখো মানুষ।
জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা ইতোমধ্যেই সতর্ক করে বলেছে, “মানবিক বিপর্যয় যদি ঠেকানো না যায়, তাহলে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ও মৃত্যুহার দ্রুত বেড়ে যাবে।



















