চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায় ২০২৫ সালের এসএসসি এবং দাখিল পরীক্ষায় হতাশাজনক ফলাফল করেছে শিক্ষার্থীরা। দুই উপজেলার ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করলেও পাশ করেছেন মাত্র ৩ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী। আর অকৃতকার্য হয়েছেন ২ হাজার ১৩৫ জন।
আনোয়ারায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার ১৯৫ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৩ হাজার ৭২৯ জন, অকৃতকার্য ১ হাজার ৪৬৬ জন এবং জিপিএ পেয়েছে ২৯০ জন পরীক্ষার্থী। অন্যদিনে কর্ণফুলীতে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৯৫২ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ২৮৪ জন, অকৃতকার্য ৬৬৯ জন এবং জিপিএ পেয়েছে ৩৩ জন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস হোসেন এবং কর্ণফুলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথ।
যা পুরো দুই উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি বলে মনে করছেন অনেকেই। গত বছর আনোয়ারা উপজেলায় পাশের হার ছিলো ৮২.৮০ শতাংশ, তবে এ বছর তা কমে ৭২.০৭ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। একই অবস্থা কর্ণফুলীতেও।
এ বছর এ দুই উপজেলায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অভিভাবকরা। বিপর্যয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরিচালনা কমিটিকে দায়ী করছেন তারা।
পরীক্ষার আগে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নিয়মিত পাঠদান না করায় এবং পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে বলে মনে করছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
ফলাফল প্রকাশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে চাতরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি এডভোকেট হাসান কায়েস বলেন, 'নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে জোর করে পরীক্ষা দেওয়াটায় অভিভাবকদের প্রথম ভুল। মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল গুলোকে রাজনীতি মুক্তকরণসহ শিক্ষকের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে বেত আর কড়া শাসন। এরজন্য অভিভাবকদের হতে হবে আরও সচেতন। সন্তানের ভালো রেজাল্ট নির্ভর করে তার পরিবারের উপরে৷ নিয়মিত তদারকিও প্রয়োজন তাদের।'
আনোয়ারা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস হোসেন বলেন, 'পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি সক্রিয় না থাকা এবং যথাযথ শ্রেণি কার্যক্রমের অভাবে পাসের হার কম হয়েছে। উপজেলা ছাড়াও পুরো চট্টগ্রামে পাশের হার গতবারের তুলনায় কম।'