close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

আন্দোলনের পেছনে সুরসুরি আছে, মানবে না সেনাবাহিনী: মেজর মেজবাহ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সড়ক অবরোধে সেনা হস্তক্ষেপ, শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ — উত্তেজনার পেছনে ‘অন্য ইন্ধন’ দেখছে সামরিক বাহিনী..

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন উত্তপ্ত সংঘাতে রূপ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল কলেজের পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালুর দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসা শিক্ষার্থীরা গতকাল রবিবার সড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ে, বাধ্য হয়ে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী। আর সেই হস্তক্ষেপ ঘিরেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, উত্তেজনা এবং শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ।

ঘটনার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেনাবাহিনীর মেজর মেজবাহ উদ্দিন সরাসরি অভিযোগ তোলেন যে, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের পেছনে "অন্য কোনো সুরসুরি" কাজ করছে — যা তারা মানবে না। তার ভাষায়, “মানুষের জীবন বিপন্ন করে দাবি আদায়ের শিক্ষা কে দিয়েছে ডাক্তারদের?”

রাষ্ট্রবিরোধী কাজের অভিযোগ ও ভবিষ্যতের হুঁশিয়ারি

তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী এমন কাজ করেছে যা “রাষ্ট্রবিরোধী” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সেনা মেজরের মতে, “বললাম রাস্তা ছাড়তে, তাও যদি উত্তেজনা দেখায়, তবে এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে এমন অবরোধ হলে গ্রেপ্তার করা হবে। “সরকারিভাবে আমাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতেই বাধ্য হবো।”

মেয়েদের রাস্তার সামনে দাঁড় করানো নিয়েও প্রশ্ন

ঘটনার আরও এক গুরুত্বপূর্ণ অংশে মেজর মেজবাহ বলেন, “একটা মেয়েকে কেন রাস্তার সামনে দাঁড় করাতে হবে? ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলে দায় কে নেবে? ছেলে হিসেবে তার দায়িত্ব তার বোনকে প্রটেক্ট করা।”

প্রশাসনের দিকে আঙুল: "আপনারা ব্যর্থ প্রশাসক বলে মনে হবে"

মেজর মেজবাহ কলেজ প্রশাসনের দিকেও কঠোর ভাষায় বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “যদি আপনারা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাকশন না নেন, তাহলে আমরা বাধ্য হবো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে।”

এসময় উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা টিচার, আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। আপনাদের একটু দৃঢ়ভাবে ট্যাকেল দিতে হবে।”

প্রেক্ষাপট ও প্রতিক্রিয়া

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বহুদিন ধরেই পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপান্তরের অপেক্ষায়। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কাজ শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। আন্দোলন তাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন হলেও, সেনাবাহিনীর বক্তব্যে বিষয়টি এখন অন্য মাত্রা পেয়েছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ইতোমধ্যে সেনা হস্তক্ষেপ এবং শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষণ

সেনাবাহিনীর সরাসরি হুঁশিয়ারি এবং ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ তকমা দেওয়ার ঘটনা শুধু এই আন্দোলন নয়, বরং ভবিষ্যতের ছাত্র আন্দোলন নিয়েও নতুন বার্তা বহন করছে। এর পেছনে রাজনীতি, প্রশাসনিক ব্যর্থতা, এবং বিদ্যমান স্বাস্থ্য অবকাঠামোর দুর্বলতাও গভীরভাবে জড়িত।


 সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলো যা সামনে আসছে:

  • শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সেনা হস্তক্ষেপ কতটা গ্রহণযোগ্য?

  • প্রশাসন কেন আগে থেকে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এল না?

  • আন্দোলনের পেছনে সত্যিই কি “বহিরাগত ইন্ধন” আছে, নাকি এটি বাস্তব দাবির বহিঃপ্রকাশ?

Inga kommentarer hittades