close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আয়না ঘর: নৃশংসতার প্রতিচ্ছবি! আওয়ামী সরকারের ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’ প্রতিষ্ঠার জঘন্য দলিল!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গোপন বন্দিশালা ও ভয়াবহ নির্যাতনকেন্দ্র ‘আয়না ঘর’ এক ভয়ংকর বাস্তবতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গোপন বন্দিশালা ও ভয়াবহ নির্যাতনকেন্দ্র ‘আয়না ঘর’ এক ভয়ংকর বাস্তবতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এই কুখ্যাত নির্যাতনকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এটা যেন এক নৃশংসতার জগৎ! এটি দেখে মনে হয় না, আমরা সভ্য সমাজে বাস করি।” আয়না ঘর: লুকিয়ে রাখা বিভীষিকা রাজধানীর গোপন একটি স্থানে অবস্থিত ‘আয়না ঘর’ নামে পরিচিত টর্চার সেলে প্রবেশের পর উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়ে যান। এদিন পরিদর্শনে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গোপন বন্দিশালার কক্ষগুলো ঘুরে দেখে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি শুধু শুনেছি, কিন্তু যা দেখলাম, তা অকল্পনীয়! প্রতিটি দেয়ালে নির্যাতনের চিহ্ন, মেঝেতে শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ! এটি প্রমাণ করে, বিগত সরকার দেশে ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’ প্রতিষ্ঠা করেছিল।” "বিগত সরকারের ভয়াবহ রূপ উন্মোচিত" সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা শুনেছি নির্যাতিতদের মুখ থেকে, কীভাবে তাদের তুলে নিয়ে আসা হতো, কেমন ছিল সেই বিভীষিকাময় রাত। এখানে যাঁরা বন্দি ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ আজও বেঁচে আছেন, তাঁদের সাক্ষ্যই প্রমাণ করে, গণতন্ত্রের নামে কী ভয়ংকর স্বৈরাচার চলেছিল!” নির্যাতনের শিকারদের করুণ অভিজ্ঞতা পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টারা দেখেন সেই কক্ষ, যেখানে গত জুলাই মাসে চলমান আন্দোলনের সময় সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে গিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলামকে আটক রাখা হয়েছিল। তারা কক্ষগুলো দেখে বলেন, “এগুলো চিহ্নিত করতে পারছি। এখানেই আমাদের রাখা হয়েছিল, এখানেই আমাদের উপর চলেছিল অমানবিক নির্যাতন।” ‘আইয়ামে জাহেলিয়াতের’ স্মারক প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এটি শুধু একটি টর্চার সেল নয়, এটি একটি প্রমাণ যে, কিভাবে বিগত সরকার মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছিল। এটি ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এক বিভীষিকাময় অধ্যায়।” নতুন সরকারের অঙ্গীকার উপদেষ্টারা জানান, এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ধরনের বন্দিশালাগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এই ভয়ংকর অধ্যায়ের শেষ কোথায়? কি ব্যবস্থা নেবে বর্তমান সরকার? জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।
لم يتم العثور على تعليقات