close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আমরা সহজে ছাড়ার পাত্র নই, গোলমাল হলে পুরো আসনে ভোট বন্ধ: সিইসি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Bangladesh’s Chief Election Commissioner A. M. M. Nasir Uddin has warned that presiding officers will have full authority in the upcoming national elections — even to halt voting in an entire constitu..

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “আমরা সহজে ছাড়ার পাত্র নই। প্রয়োজন হলে পুরো আসনে ভোট বন্ধ করে দেবো।

শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় তিনি বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারদের হাতে সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হবে। ভোটের দিন গোলমাল হলে সেন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত তারা নেবেন, এমনকি প্রয়োজন হলে পুরো আসনে ভোট স্থগিত করতে পারবেন। “যেদিন ইলেকশন হবে, সেদিন আপনারা সব ক্ষমতা নিয়ে মাঠে থাকবেন। যদি গোলমাল হয়, সঙ্গে সঙ্গে সেন্টার বন্ধ করে দেবেন, বলেন সিইসি।

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমপাওয়ার্ড, ওয়েল-ট্রেইনড ও ওয়েল-প্রটেক্টেড প্রিসাইডিং অফিসার তৈরি করছি। আপনাদের হাতে থাকবে সব আইনি ক্ষমতা। কিন্তু সেই ক্ষমতা প্রয়োগ না করলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হবে।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা চাই, এই নির্বাচনে উদাহরণ তৈরি হোক—দেশবাসী বুঝুক আইনের শাসন কাকে বলে। আপনারা যদি বিধি অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন আপনাদের পাশে থাকবে, পেছনে থাকবে, পূর্ণ সমর্থন দেবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি আপনার কর্মকাণ্ডে ধারণা পাই আপনি কোনো বিশেষ দল বা ব্যক্তির জন্য কাজ করছেন, তাহলে আপনার আইনি ও নৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে। আমরা সেটি মেনে নেব না।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক প্রমুখ।

সিইসি জানান, নির্বাচন পরিচালনায় প্রশাসনিক, আইনগত ও নিরাপত্তাজনিত নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, “কাকে কোথায় নিয়োগ দেবো, কীভাবে গোলমাল সামলাবো—এসব প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ আছে। আবার আইনগত দিক থেকেও জটিলতা থাকে। তবুও আমরা চাই প্রতিটি কর্মকর্তাই আইনের অধীনে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। “বর্তমানে নির্বাচনে প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তা—এই দুই বিষয়ই বড় চ্যালেঞ্জ। ক্যামেরা, ট্র্যাকিং, এআই—এসব এসেছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় উদ্বেগ নিরাপত্তা নিয়ে,” বলেন সিইসি।

শেষে তিনি সকল নির্বাচন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা আইন মেনে কাজ করুন। নির্বাচন কমিশন আপনাদের পূর্ণ সহায়তা দেবে। আমরা সহজে ছাড়বো না, আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপে ইসি থাকবে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator