close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আমরা আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম রা ষ্ট্র ই রা নে র পাশে আছি , পা কি স্তা ন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন—ঘোষণা পাকিস্তানের। আত্মরক্ষায় ইরানের অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার করল ইসলামাবাদ।..

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের সামরিক হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বলছে, এই হামলা শুধু ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত নয়—এটি গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। পাশাপাশি পাকিস্তান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের "ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র ইরানের" পাশে আছে এবং তার আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন জানায়।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (OIC) আয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম বিশেষ অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ডন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনে পাকিস্তানের অবস্থান অত্যন্ত শক্তভাবে উপস্থাপন করা হয়।

‘আত্মরক্ষার অধিকার ইরানের রয়েছে’

ইসহাক দার বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে প্রকাশ্য এবং উসকানিমূলক হামলা চালিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে আত্মরক্ষার স্বাভাবিক অধিকার ইরানের রয়েছে। পাকিস্তান এই অধিকারকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে।”

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল এই হামলা চালানোর সময় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) ইরানে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। সেই পরিস্থিতিতে এমন সামরিক পদক্ষেপ শুধু আন্তর্জাতিক আইন নয়, বরং IAEA-এর গঠনতন্ত্র এবং আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তগুলোও লঙ্ঘন করেছে।

‘এই আগ্রাসন বিশ্বব্যবস্থার জন্য ভয়াবহ বার্তা’

ইসরায়েলের হামলাকে তিনি "বিশ্বব্যবস্থার জন্য এক বিপজ্জনক নজির" হিসেবে অভিহিত করেন। তার মতে, এই ধরণের হামলা যদি জবাবদিহির মুখোমুখি না হয়, তাহলে তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনুরূপ আগ্রাসনের সংস্কৃতি জন্ম দিতে পারে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠবে।

ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক জানিয়ে দার বলেন, “এই বর্বর হামলায় বহু নিরীহ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এমন ভিত্তিহীন এবং অন্যায় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের সমস্ত বিবেকবান রাষ্ট্রের একসাথে অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।”

পাকিস্তানের বার্তা: ‘শুধু সংহতি নয়, জবাবদিহিও চাই’

এই বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, ইসলামাবাদ কেবল সংহতির কথা বলছে না—তারা চায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলকে এই হামলার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনুক।

বিবৃতিতে বলা হয়, “যদি এই বেপরোয়া আগ্রাসনের সংস্কৃতি অব্যাহত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে তা বৈশ্বিক শান্তিকে চরমভাবে হুমকির মুখে ফেলবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এই অবস্থান কেবল কূটনৈতিক নয়—এটি মুসলিম বিশ্বের মধ্যকার ঐক্যের বার্তা এবং ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত প্রতিবাদের সূচনা হতে পারে।

আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়ছে

বিশ্বজুড়ে যখন মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে উত্তেজনা চরমে, তখন পাকিস্তান–ইরান–তুরস্ক এই ত্রিমুখী সংহতি ভবিষ্যতের ভূরাজনৈতিক চিত্রে বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

ইসরায়েলের এমন হামলা নিয়ে এরই মধ্যে ইরানও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পরিস্থিতি এখন যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি বড় সংঘাতের আভাস দিচ্ছে।

Aucun commentaire trouvé