ট্রাম্প স্বীকার করলেন: স্বর্গে যাওয়ার যোগ্য নই, তবে অনেক মানুষের জীবন রক্ষায় অবদান রেখেছি
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বর্গে যাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছেন। এয়ার ফোর্স ওয়ানে ইসরাইল যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি জানালেন, যদিও তিনি মজা করছিলেন, তবুও মানুষের জীবন রক্ষায় তার অবদান গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি স্বর্গে যাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করে চমক দিয়েছেন। সোমবার ইসরাইলের উদ্দেশ্যে এয়ার ফোর্স ওয়ানে যাত্রার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই বিষয়টি জানিয়েছেন। খবরটি প্রথম প্রকাশ করেছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
ফক্স নিউজের সাংবাদিক পিটার ডুসির একটি প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি এমন কিছু করিনি যা আমাকে স্বর্গে নিয়ে যাবে। সত্যিই না। আমার মনে হয়, আমি স্বর্গগামী নই।” তিনি এই মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেকে খুবই সতর্কভাবে উপস্থাপন করেছেন।
পরবর্তীতে ট্রাম্প হেসে যোগ করেন, “আমি একটু মজা করছিলাম। সত্যি বলতে, এমন কিছু করিনি যা আমাকে স্বর্গে নিয়ে যাবে।” তবে মজার ছলে তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন এয়ার ফোর্স ওয়ানে আছি, হয়তো এটাই আমার স্বর্গ!” এই মন্তব্যে তিনি এও প্রকাশ করেছেন যে, যদিও স্বর্গে যাওয়ার বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন, তবে তিনি অনেক মানুষের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
ট্রাম্পের বক্তব্যে ছিল রাজনৈতিক সমালোচনাও। তিনি অভিযোগ করেন, “২০২০ সালের নির্বাচন যদি কারচুপি না হতো, তাহলে জো বাইডেনের জায়গায় আমি হোয়াইট হাউজে থাকতাম। আর আমি থাকলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারতেন না। সেটিও হতো আরেকটি বড় সংঘাতের সমাপ্তি।”
তিনি আরও বলেন, “বাইডেন প্রশাসন ছিল অদক্ষ। একজন অযোগ্য প্রেসিডেন্ট দেশ চালিয়েছেন। সেই জালিয়াত নির্বাচনের কারণে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। ইসরাইল ইস্যুও অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল আগের প্রশাসনের কারণে।” ট্রাম্পের এই মন্তব্যে তার রাজনৈতিক দর্শন এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কেবল ব্যক্তিগত আস্থার প্রকাশ নয়, বরং এটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রাখার একটি কৌশল হিসেবেও দেখা যেতে পারে। তিনি যে মানুষের জীবন রক্ষায় অবদান রেখেছেন তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, যদিও স্বর্গে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রতিটি মন্তব্যই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। বিশেষত, ইসরাইল সফরের সময় এই ধরণের মন্তব্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের জন্য আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ট্রাম্পের এই সরল ও মজাদার মন্তব্য, রাজনৈতিক সমালোচনা এবং নিজের অবদানকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা সকলের নজর কাড়ছে। এ ধরনের মন্তব্য ভবিষ্যতে রাজনৈতিক বিতর্ক এবং সামাজিক মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দিয়েছে।