close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আমি খারাপ কিছুতে অংশ নিয়েছি, তাই ভালো কিছু করতে চাই , ইসরায়েলি সেনা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
A rare confession by an Israeli reserve soldier reveals harsh realities in Gaza — orders to shoot anyone crossing ‘no-go zones,’ indiscriminate fire on civilians, and allegations of war crimes amid ch..

গাজা উপত্যকায় মোতায়েন এক ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনার কথা বলছে ভয়াবহ বাস্তবতা — বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলির আদেশ, যুদ্ধাপরাধের ছায়া ও সামরিক ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলা।

 

গাজা উপত্যকায় তিনবার দায়িত্ব পালন করা এক ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনা সম্প্রতি স্কাই নিউজকে একটি বিরল ও চমকপ্রদ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তার ইউনিট প্রায়শই আদেশ পেতো এমন জায়গায় প্রবেশ করলে যেকোনো ব্যক্তিকে গুলি করতে হবে, যিনি সশস্ত্র হোক বা নিরস্ত্র — নির্বিশেষে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত এলাকাগুলোতে ঢুকলেই মারা যাবে; ভেতরে ঢুকলে বিপদজনক, তাকে গুলি করতেই হবে।

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সেনাটি তার নাম প্রকাশ করেননি। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে গাজার বেসামরিক জনগণের ওপর নির্দিষ্ট আদেশে নির্বিচারে গুলি চালানো হতো, যা সেনাদের আচরণ অনেক সময় নির্ভর করতো কমান্ডারের মেজাজের ওপর। ওই সেনা ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) ২৫২তম ডিভিশনের সদস্য এবং গাজায় ‘নেটজারিম করিডোরে’ দুবার মোতায়েন ছিলেন, যা গাজাকে দুই ভাগে ভাগ করে নিয়ন্ত্রণ সহজ করে।

তিনি জানান, একসময় একটি ঘর দখল করে সেখানে ‘নো-গো জোন’ হিসেবে একটি অদৃশ্য সীমারেখা টানা হয়েছিল, যাকে বলা হতো গাজার সকল মানুষের জন্য নিষিদ্ধ এলাকা। কিন্তু বাস্তবে বেসামরিকরা এই সীমা ভাঙলে তাদের ওপর গুলি চালানো হতো। অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে কিশোরেরা বাইসাইকেল চালিয়ে সীমা লঙ্ঘন করলে তাদেরকেও গুলি করা হয়েছিল। সেনাটির অভিমত ছিল, ‘গাজার কেউই নির্দোষ নয়’ এবং হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর পুরো গাজাকে দায়ী করা হত।

সেনা আরো জানিয়েছেন যে সেনাদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সত্ত্বেও জবাবদিহিতা ছিল না। তিনি বলেন, ‘এখানে যেন ওয়াইল্ড ওয়েস্টের মতো অবস্থা, যেখানে যেকোনো কমান্ডার ইচ্ছেমতো আদেশ দিচ্ছে এবং কাউকে ধরা পড়ছে না।’

একাধিকবার একই দিনে আদেশ বদলানো হতো — কখনো গুলি চালাতে, কখনো বন্দি করতে। একদা এক ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করা হয় সীমা লঙ্ঘনের জন্য, আর তার মরদেহ নিতে আসা লোকটাকেও গুলি করা হয়। পরে আবার নির্দেশ আসে মরদেহ নেওয়ার সময় বন্দি করতে হবে। আবার কিছুক্ষণ পর গুলি করার আদেশ চলে আসে।

তিনি বর্ণনা করেন, আমি মনে করি আমি একটা খারাপ কাজের অংশ ছিলাম, তাই সত্য প্রকাশ করে কিছু ভালো করতে চাই।’ তিনি যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের ও ফিলিস্তিনিদের মাঝে খুব খারাপ কিছু ঘটছে এবং এর অবসান প্রয়োজন।

সেনাটি ইসরায়েলি সমাজে সেনাবাহিনীকে প্রশ্ন করার সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে বলেছেন, নিজের নিরাপত্তার কারণে তার পরিচয় গোপন রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ যুদ্ধের পক্ষে, কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতি জানলে তা গ্রহণ করতো না। আমি আশা করি আমার কথা যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলাতে সাহায্য করবে।

আইডিএফ অভিযোগের বিষয়ে জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন ও নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে এবং বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে। তবে এই নির্দিষ্ট অভিযোগ তদন্ত করা সম্ভব হয়নি কারণ পর্যাপ্ত তথ্য দেয়নি ওই সেনা। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অবশ্য বলছে, এই ধরনের অভিযোগ যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ে এবং আন্তর্জাতিক তদন্ত জরুরি।

کوئی تبصرہ نہیں ملا