close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

আমার ছেলের বউ টিকটক করে, সে সব জানে : আছি'য়া ধ র্ষ' ণ ও হ 'ত্যা মা'ম' লায় আ'সা' মি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
৮ বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আদালতের পথে সাংবাদিকদের সামনে চিৎকার করে নাটকীয় দাবি করলেন প্রধান আসামি হিটু শেখ। বললেন, “আমার ছেলের বউ টিকটক করে, সে সব জানে।” সরকার পক্ষ বলছে, এটি আসন্ন শাস..

মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলছে শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার শুনানি। ইতোমধ্যে চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখসহ তার স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং দুই ছেলে সজিব ও রাতুলকে আদালতে হাজির করা হয় বুধবার সকালে।

আদালতের পথে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে হিটু শেখ হঠাৎ চিৎকার করে ওঠেন। তিনি দাবি করেন,

আমি নির্দোষ। আমার ছেলের বউ টিকটক করে, সে সব জানে। ওকে রিমান্ডে নিলে সব বেরিয়ে আসবে।

এই মন্তব্য মুহূর্তেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। হিটু শেখের কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যায়, মামলার পেছনে কোনো অন্য সত্য লুকিয়ে থাকতে পারে।

তবে সরকার পক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল এসব দাবিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তিনি বলেন,

এই সব পাগলের প্রলাপ। শাস্তি নিশ্চিত জেনে এখন উল্টাপাল্টা কথা বলছে। আসামিরা কেউই ছাড় পাবে না।

বুধবার আদালতে ৩ জন চিকিৎসকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এই নিয়ে মোট ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হলো। বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ১৫ মে’র মধ্যে রায় ঘোষণা হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

ঘটনার পেছনের নির্মমতা:

২০২৫ সালের ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ৮ বছরের শিশু আছিয়া। সেখানেই পাশবিকতার শিকার হয় সে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আছিয়াকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে।

এই নির্মম ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সবখানেই ন্যায়ের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

স্থানীয় আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে জানান,

এই জঘন্য ঘটনার আসামিদের কেউ কোনো আইনজীবী সহায়তা দেবে না। এমন অপরাধের বিচার হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক।

স্বীকারোক্তি, তবুও চারজনের নামে অভিযোগপত্র
১৫ মার্চ হিটু শেখ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে তিনি বলেন,

ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত নয়। আমি একাই করেছি।

তবে ১৩ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র জমা দেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং পরিবারজড়িত।

হিটু শেখ আদালতে অভিযোগ করেন

রিমান্ডে পুলিশ আমাকে নির্যাতন করেছে। আমি স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হয়েছি।

আসছে রায়?

যদি বাকি সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তাহলে ১৫ মে’র মধ্যে এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। তারাও চাইছেন, এই মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক, এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।

সমাজের প্রতি বার্তা
আছিয়া আর ফিরে আসবে না। কিন্তু সমাজ চায়, তার আত্মার শান্তির জন্য প্রকৃত দোষীদের কঠোর সাজা হোক। যেন ভবিষ্যতে আর কোনো শিশু এমন নিষ্ঠুরতার শিকার না হয়।

कोई टिप्पणी नहीं मिली