‘আমাদের হাত-পা বাঁধা, পানি নেই, বাথরুমেও যেতে দেয়নি’: যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত ব্রাজিলিয়ানদের হৃদয়ব

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর নথিপত্রহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেন। নির্বাচনী প্রচারে
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর নথিপত্রহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেন। নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় ও গণহারে বিতাড়িত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুক্রবারের এই বিতাড়ন ছিল সেই কঠোর নীতিরই একটি উদাহরণ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ফ্লাইটে থাকা অভিবাসীদের একজন, এদগার দা সিলভা মোউরা, জানান, ‘উড়োজাহাজে আমাদের হাত-পা বাঁধা ছিল। পানি দেয়নি, এমনকি বাথরুমে যাওয়ার সুযোগও দেয়নি। তীব্র গরমে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’ মোউরা, যিনি পেশায় একজন কম্পিউটার টেকনিশিয়ান, সাত মাস যুক্তরাষ্ট্রে বন্দী ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি বলেন, এই যাত্রা ছিল একেবারেই অমানবিক। আরেকজন যাত্রী, ২১ বছর বয়সী ফ্রিল্যান্সার লুইজ অ্যান্টোনিও রদ্রিগুয়েজ সান্তোস, বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির কারণে অভিবাসীদের প্রতি অপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে। উড়োজাহাজে কারিগরি সমস্যার কথা বলে আমাদের চার ঘণ্টা শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ছাড়া রাখা হয়। যাঁদের হৃদ্‌রোগের সমস্যা ছিল, তাঁদের জন্য এই যাত্রা দুঃস্বপ্নের মতো।’ সরকারের প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপ ব্রাজিলের সরকার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কূটনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্টে বলা হয়, ‘অভিবাসীদের সঙ্গে কেন এমন আচরণ করা হয়েছে, তার যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে হবে।’ বিচার মন্ত্রী রিকার্ডো লেবানদোভস্কি বলেছেন, ‘এই ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি ব্রাজিলিয়ান নাগরিকদের প্রতি সরাসরি অসম্মান।’ বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে অভিবাসী নীতির প্রতি নজর কেড়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই ধরনের আচরণ অভিবাসন নীতির মানবিক দিককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ব্রাজিল সরকার এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়ার অপেক্ষায়। একই সঙ্গে, এই ধরনের আচরণ যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সেই নিশ্চয়তা চায় তারা।
No se encontraron comentarios