close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আলোচিত বিএনপি নেতা ফজলুরের আসনে মনোনয়ন চান আরেক ফজলুর

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Another BNP leader, Md. Fazlur Rahman Shikdar, has sought nomination for the Kishoreganj-4 constituency following the suspension of the party post of the controversial Fazlur Rahman. He announced his ..

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে আলোচিত বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ স্থগিত হওয়ার পর এবার সেই আসনে মনোনয়নের দাবিতে মাঠে নেমেছেন আরেক ফজলুর রহমান। তিনি হলেন মো. ফজলুর রহমান শিকদার, যিনি জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রার্থিতার ঘোষণা দেন।

মো. ফজলুর রহমান শিকদার আরও পরিচিত জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও মিঠামইন উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করলেও নানা কারণে তাঁর মতো ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আর এর মূল কারণ হিসেবে তিনি দলীয় পদ স্থগিত হওয়া নেতা ফজলুর রহমানকে দায়ী করেন।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে অতীতে আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য দলের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তাঁর পুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ (তৌফিক) ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। এছাড়া ১৯৭৯ সালে বিএনপি থেকে ফরহাদ আহমেদ এবং ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির আবদুল লতিফ ভূঁইয়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পদ স্থগিত হওয়া ফজলুর রহমান অতীতে ১৯৯৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে, ২০০১ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে এবং ২০০৮ ও ২০১৮ সালে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমানের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের দলীয় পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এই পদক্ষেপের পর থেকে আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নের জন্য নতুন প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, বর্তমানে প্রায় ১০ জন নেতা এ আসন থেকে মনোনয়নের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান শিকদার তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বিগত বছরগুলোতে ফজলুর রহমানের কারণে অনেক ত্যাগী নেতা মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমাদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে, যাতে আমরা দলের জন্য কিছু করতে না পারি। কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে দলের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়েছে, তাই আমি দলের অবস্থান শক্ত করতে প্রার্থী হয়েছি।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াও সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমানের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “ফজলুর রহমান বিএনপিতে যোগদানের পর আহ্বায়ক হন এবং তখন থেকেই যারা বিএনপির দুর্দিনে দলকে ধরে রেখেছিলেন, তাঁদের অনেককে কোণঠাসা করে দেন। তাঁর পছন্দ না হওয়ায় অনেককে জেলা বিএনপির কোনো পদ-পদবিতে রাখা হয়নি। তিনি স্বৈরতান্ত্রিকভাবে দল চালিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, “ফজলুর রহমান বিএনপিতে যোগদানের পর আমাদের যে অপমান-তিরস্কার সহ্য করতে হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা চাই, বিএনপির আদর্শ ও উদ্দেশ্য ধারণ করে এমন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হোক, যিনি হাওরবাসীর কল্যাণে কাজ করবেন। আজ যিনি (ফজলুর রহমান শিকদার) প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন, তাঁকে আমরা স্বাগত জানাই।

পদ স্থগিত হওয়া বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “যে কেউ প্রার্থিতা ঘোষণা করতে পারে। এতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি আমার কাজ চালিয়ে যাব।

এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত দল কাকে মনোনয়ন দেয় এবং হাওর অঞ্চলের রাজনীতিতে কে নতুন নেতৃত্বের দায়িত্ব নেন।

לא נמצאו הערות


News Card Generator