আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে বাড়তে পারে ভ্যাপসা গরম ও আর্দ্রতা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় ভ্যাপসা গরম ও আর্দ্রতা অনুভূত হতে পারে। সকালে প্রকাশিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকবে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার সকালে ঢাকার তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে, যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দপ্তর আরও জানায়, আজকের দিনে বৃষ্টি হলেও বাতাসে আর্দ্রতার কারণে গরম ও ভ্যাপসা ভাব থেকে মুক্তি মিলবে না। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর তুলনামূলকভাবে কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায়ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে কৃষিজ ফসলের জন্য এটি উপকারী হলেও নগরবাসীর জন্য সৃষ্টি করতে পারে যানজট ও দৈনন্দিন দুর্ভোগ।
বৃষ্টি থেমে থেমে হলেও ঢাকায় ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস। তবে বাতাসে আর্দ্রতার কারণে দিনের বেলায় গরমের অনুভূতি থেকে পুরোপুরি মুক্তি মিলবে না।
আবহাওয়াবিদদের মতে, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা বাড়লে আবারও একাধিক বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় সতর্ক থাকার জন্য।