তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকে রোডম্যাপ অনুমোদন করা হয়েছে। বর্তমানে সব কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে, সম্ভাব্য ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসি প্রায় ৫৭ দিন সময় পাবে। তবে প্রবাসী ভোটারদের কথা বিবেচনা করে এই সময় ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে।
এরই মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে দাবি-আপত্তির শুনানি শেষ হয়েছে। চার দিনে ৩৩ জেলার ৮৪টি আসন নিয়ে মোট ১,৮৯৩টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১,১৮৫টি আবেদন প্রস্তাবের বিপক্ষে এবং ৭০৮টি পক্ষে জমা পড়ে।
রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত থাকবে—
• তফসিল ঘোষণার আগের ও পরবর্তী কার্যক্রম
• রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ
• ভোটার তালিকা হালনাগাদ
• নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন
• নির্বাচনি আইন সংস্কার
• আসন পুনর্নির্ধারণ
• প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম
পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার আসনবিন্যাস নিয়েও প্রস্তাব এসেছে। পাবনা জেলা থেকে সাঁথিয়া ও বেড়া-সুজানগরকে পৃথক আসনে ভাগ করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ থেকে আগের আসনবিন্যাস পুনর্বহালের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “নির্বাচনের রোডম্যাপের সব কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা যে কর্মপরিকল্পনা করেছি, তা আজই প্রকাশ করা হবে।”