বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দশম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন লিটন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিচারে এই মাইলফলক ছোঁয়া ৩২১তম ক্রিকেটার তিনি।
গল টেস্ট দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরের। সেখানে প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের ইনিংস খেলে প্রায় সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন লিটন। আগের টানা ১০ ইনিংসে ফিফটি না পাওয়া ব্যাটার রান খুঁজে পাওয়ার স্বস্তি পেয়েছিলেন সেখানেই। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও হতাশ করেছেন।
আজ কলম্বো টেস্টে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে সেই যাত্রার এক স্মরণীয় বাঁক ছুঁলেন লিটন—২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্ট দিয়ে যে পথচলা শুরু হয়েছিল তাঁর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লিটনকে ঘিরে প্রত্যাশা, বেড়েছে দায়িত্বও। টি-টোয়েন্টিতে এখন দীর্ঘমেয়াদি অধিনায়ক তিনি, আর বাকি দুই ফরম্যাটে দায়িত্ব পালন করেছেন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে।
টেস্টে বরাবরই একটু বেশি পরিণত লিটন। যেখানে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে মাঝেমধ্যে জায়গা নিয়ে শঙ্কা ছিল, সেখানে সাদা পোশাকে বেশ আত্মবিশ্বাসী ও স্থায়ী।
৪৯ টেস্টে ২৮৮১ রান করেছেন ৪ সেঞ্চুরি ও ১৮ ফিফটির সাহায্যে। যদিও পরিসংখ্যান বলে দেয়, তাঁর সামর্থ্যের চেয়ে এখনও অনেকটা পেছনে এই অর্জন।
তবু একের পর এক দিন, ম্যাচ, ও মাইলফলক সামনে আসেই নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। যেমনটি এসেছিল ২০১৭ সালে, যখন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল একসঙ্গে তাঁদের ৫০তম টেস্ট খেলেন মিরপুরে। সেই ম্যাচেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। সাকিব-তামিমের ৫০তম টেস্টটি হয়ে ওঠে এক ঐতিহাসিক জয়।
আজ লিটনের জন্যও সেই সুযোগ। যদি তিনি ও তাঁর দল পারেন এমন কিছু করে দেখাতে—তাহলে তাঁর ৫০তম টেস্ট হয়ে উঠবে আরও স্মরণীয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখনো টেস্ট সিরিজ জয় পায়নি বাংলাদেশ। যদি এই ম্যাচেই সেটি ঘটে, তাহলে ইতিহাস লিখবেন লিটন ও তাঁর দল।
২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের ‘৫০ টেস্ট ক্লাব’-এ হাবিবুল বাশারের পর নবম সদস্য হয়েছেন লিটন। এখন দেখার অপেক্ষা, লিটনের এই মাইলফলক কেবল সংখ্যা হয়েই থেকে যায়, নাকি বিশেষ কিছু দিয়ে রাঙিয়ে দিতে পারেন এই ম্যাচটিকে। সময়ই দেবে উত্তর।



















