বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অষ্টম দিনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত প্রকাশ করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবকে সমর্থন করি। এটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীও এই আইনের প্রস্তাবে একমত প্রকাশ করেছে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ তাহের বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন একটি আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এটি সকল রাজনৈতিক পক্ষের জন্য সুরক্ষা ও ন্যায় নিশ্চিত করবে।
এই সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, আমার বাংলাদেশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা একমত হয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সংক্রান্ত বিষয়টিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আগামী দিনগুলোতে বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা চালিয়ে যাবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের মতামত বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি করবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।