‘আগে রাষ্ট্র সংস্কার পরে নির্বাচন’,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিবের ঘোষণা


ইসলামী আন্দোলন (ইসা) বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেছেন, "ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার জনগণ বিশ্বাস করে না।" তিনি উল্লেখ করেন যে, গত কয়েক বছর ধরে দেশীয় সরকারগুলো ক্ষমতায় এসে কখনোই যথাযথ সংস্কারের চেষ্টা করেনি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের কল্যাণের জন্য প্রথমে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজন এবং পরে নির্বাচন হওয়া উচিত।
শনিবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সহ-সভাপতি মাস্টার মাকবুল হোসেন, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ আরো বলেন, "আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদের বিলুপ্তি ঘটিয়েছি, কিন্তু পরবর্তী সময়ে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ঐক্য বিভক্ত হয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদের প্রচলন এখন আরেকটি দলের হাতে চলে গেছে, যা জনগণের মধ্যে চিন্তার উদ্রেক করেছে।" তিনি সতর্ক করে বলেন, "যদি কেউ ফ্যাসিবাদী আচরণ করে, তবে তাদের পরিণতি ৫ আগস্টের মতো হতে পারে।"
সম্মেলন শেষে বাগেরহাট জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়া সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফকির শহিদুল ইসলাম, মাও. ফারুক হোসাইন এবং এইচ এম সাইফুল ইসলাম। সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছেন মুফতি মো. নুরুজ্জামান।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান অতিথি হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই নতুন কমিটি স্বল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা করবে এবং ইসলামী আন্দোলনের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করবে।
এদিনের সম্মেলনে বক্তারা ইসলামিক আন্দোলনের প্রতিটি স্তরে ঐক্য এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সম্মেলনটি অত্যন্ত সফল ও সফলতার সাথে শেষ হয়, যেখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট শাখার ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।
کوئی تبصرہ نہیں ملا