close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আগামী নির্বাচনে নিষিদ্ধ হচ্ছেন ভালো সার্টিফিকেটদাতা বিদেশি পর্যবেক্ষক , সিইসি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Foreign observers who endorsed past elections as "valid" will not be allowed in upcoming polls, says CEC. Bangladesh aims for a free and fair election.

সিইসি নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, বিগত তিন নির্বাচনকে বৈধ বলা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আর আসতে দেওয়া হবে না। এবার চাই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য মতামত।

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিগত তিনটি নির্বাচনে 'ভালো সার্টিফিকেট' দেওয়া বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার আগ্রহ দেখাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ একাধিক সংস্থা ইতোমধ্যে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে তারা পর্যবেক্ষণে আসতে চায়। তবে, বিগত তিনটি নির্বাচন যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক ইতিবাচক বা বৈধতা দেওয়ার মতো মন্তব্য করেছেন, তাদের এবার আমরা আমন্ত্রণ জানাব না।

এই বক্তব্য তিনি রাখেন মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে।

সিইসি জানান, কানাডার প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। কমিশন কীভাবে ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চায়, তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কানাডার হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন আমরা কতটা প্রস্তুত এবং কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা বলেছি, সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্যই আমরা কাজ করছি।

বৈঠকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর অপব্যবহার নিয়েও আলোচনা হয়। সিইসি জানান, “এআই মিসইউজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে তারা আমাদের মতামত ও পরামর্শ দেবেন।”

তিনি আরও বলেন, কানাডা আমাদের প্রচেষ্টা ও প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট। তারা ইচ্ছা প্রকাশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার—ব্যালট প্রকল্প হোক বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা।

এই ঘোষণার মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন: বিদেশি পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে এবার থাকবে কঠোর বাছাই। অতীতের বিতর্কিত প্রশংসাকারীরা বাদ পড়বেন, সুযোগ পাবেন কেবল নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা।

এটি একদিকে যেমন নির্বাচনের স্বচ্ছতা বাড়াতে পারে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

لم يتم العثور على تعليقات