‘আগামী নির্বাচন হবে পুলিশের কলঙ্ক মোচনের’

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে ‘কলঙ্ক মোচনের সুযোগ’ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ পুলিশ। নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে জনআস্থা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাছের।..

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে পুলিশের যে ভাবমূর্তি বিগত কয়েক বছরে নানা বিতর্কে জড়িয়েছিল, সেই চিত্র পাল্টে দিতে চায় বর্তমান পুলিশ প্রশাসন। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই পরিবর্তনের দৃঢ় বার্তা দিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ।

রোববার (১৬ জুন) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেরা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৫৫তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,আগামী নির্বাচন হবে পুলিশের কলঙ্ক মোচনের নির্বাচন। বাংলাদেশ পুলিশ একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এই ঘোষণা শুধু বক্তব্য নয়, বরং পুলিশের পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি নীতিগত অবস্থান বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তিনি আরও উল্লেখ করেন,জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে।

পুলিশ জনগণের অংশ—এই উপলব্ধি থেকেই অতিরিক্ত আইজিপি নবীন পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেন জনতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য। তিনি বলেন,আপনাদের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, বরং জনগণের আস্থা অর্জনও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

নির্বাচনের সময় পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা বিতর্ক ছিল। অতীতে বহুবার পুলিশের বিরুদ্ধে দলীয় পক্ষপাতিত্ব ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে অতিরিক্ত আইজিপির এই বক্তব্যকে অনেকেই ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশের ইতিবাচক অবস্থান বলেই মনে করছেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপারবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং প্রশিক্ষণার্থীদের পরিবারবর্গ।

অনুষ্ঠানে পুলিশের নিয়মিত চর্চিত শৃঙ্খলা ও অনুশীলনের এক চিত্র ফুটে ওঠে। নবীন কনস্টেবলদের প্যারেড ও শপথ গ্রহণে দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যপরায়ণতার বার্তা উঠে আসে। এ উপলক্ষে এক আবেগঘন পরিবেশে অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন, যা অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে।

জনগণের প্রত্যাশা ও পুলিশের প্রতিজ্ঞা—এই দুইয়ের সম্মিলনেই তৈরি হচ্ছে আগামী নির্বাচনের নিরাপত্তা কাঠামো। অতিরিক্ত আইজিপির বক্তব্য সেই চেষ্টারই ইঙ্গিত দেয়, যেখানে পুলিশ থাকবে পক্ষপাতহীন, দায়িত্বশীল এবং জনবান্ধব। সময়ই বলে দেবে—পুলিশ তাদের সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে কতটা সক্ষম হয়েছে।

Aucun commentaire trouvé


News Card Generator