আগামী বছরের হজে খরচ আরও কমবে, সরকারি উদ্যোগে ফিরছে ৮ কোটি টাকা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Bangladesh plans to cut Hajj expenses further by 2026 while ensuring better services. Over Tk 8 crore will be refunded to pilgrims who went through the government system.

২০২৬ সালের হজ খরচ আরও সাশ্রয়ী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। হজ ব্যবস্থাপনায় গুণগত মান বজায় রেখে খরচ কমাতে চলেছে বড় পরিকল্পনা।

বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে হজ ব্যবস্থাপনায় আসছে নতুন পরিবর্তন। খরচ কমিয়ে, মান বাড়িয়ে হজযাত্রীদের জন্য আরও সম্মানজনক ও সহজ হজ নিশ্চিত করতে জোরদার পরিকল্পনায় কাজ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার দুপুর ২টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, “আমরা চাই হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আরও অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। গত বছরের মতো এবারও আমরা মিডিয়া ও কর্মকর্তাদের যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি। আমরা আশাবাদী, আগামী বছরেও একইরকম সাফল্য থাকবে।”

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, ২০২৬ সালের হজের খরচ আরও কমিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসন্ন নভেম্বর মাসেই সৌদি আরবের সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে হজের ব্যয় হ্রাস, সময়োপযোগী সেবা এবং হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য একটি সম্মানজনক ও ঝামেলামুক্ত হজ নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে আমরা ব্যয় কমানোর সঙ্গে সঙ্গে সেবার মান বজায় রাখার দিকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।

এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়া ৪,৯৭৮ জন হাজীর কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায়কৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট ফেরত অর্থের পরিমাণ ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২৫ সালের হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১৫৭ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। যাত্রা শুরু হয়েছিল ২৯ এপ্রিল থেকে, আর শেষ ফ্লাইট সৌদিতে পৌঁছায় ৩১ মে। হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন, এবং ফিরতি হজ ফ্লাইট শেষ হয় ১০ জুলাই।

তবে এ বছর হজ পালনকালে সৌদি আরবে মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। হজ অফিসের বুলেটিন অনুযায়ী, মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল বার্ধক্য ও অসুস্থতা-জনিত জটিলতা।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, হজ ব্যবস্থাপনায় সরকারের লক্ষ্য হলো প্রতিটি মুসল্লির প্রতি যথাযথ সম্মান ও যত্ন নিশ্চিত করা, যাতে তারা সহজ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ হজ পালন করতে পারেন। এই লক্ষ্যে সরকার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হজ ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

এই উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।

Walang nakitang komento