পাবনায় আগাম বন্যার পানিতে বড়াল ও গুমানী নদীসহ কয়েকটি নদীর পানি বেড়েই চলেছে। ফলে ডুবে গেছে চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের ধান। এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে মৌসুমি শ্রমিকের সংকট থাকায় তাড়াহুড়ো করে ধান ঘরে তোলা নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া বড়াল, চিকনাই, গুমানী, আত্রাই, ও হান্ডিয়াল কাটা নদীসহ বিভিন্ন বিলে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের জমিতে থাকা পাকা ইরি-বোরো ধান ডুবে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
ক্ষেতেই ধান নষ্ট হচ্ছে জানিয়ে হান্ডিয়াল সিদ্ধিনগর এলাকার কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন, এ বছর ১২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বন্যার পানিতে ক্ষেতেই ধান নষ্ট হচ্ছে। সাধারণত জমিতে বিঘা প্রতি ২০ মণ ধান হলেও বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় এখন বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৫ মণের বেশি পাওয়া যাবে না।
একই এলাকার কৃষক তারিকুল ইসলাম বলেন, আনন্দের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে ধান কাটার কথা ছিল। কিন্তু আগাম বন্যার পানিতে জমি ডুবে যাওয়ায় ঈদের সব আনন্দ শেষ। ঈদের দিনও পানিতে আমাদের ধান কাটতে হয়েছে। ঈদের আগে শ্রমিক পাওয়া গেলেও বিপদকালীন সময়ে ১২০০-১৪০০ টাকাতেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
Mirza Mizanur Rahman raza
Pabna