close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আবারও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীর খুচরাবাজারে আবারও নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত দুই দিনে চাল, তেল, ডাল, পেঁয়াজসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন।..

শুক্রবার কাওরান বাজার, নিউ মার্কেট ও তুরাগের নতুনবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। চালের দাম বাড়ার পেছনে বাজারে কোনো বাস্তবিক সংকট নেই বলে দাবি তাদের। অভিযোগ করা হচ্ছে, কিছু অসাধু মজুতদার ও বড় করপোরেট চাল ব্যবসায়ী বোরো মৌসুমের শুরুতেই ধান কিনে গুদামজাত করেছেন, যার ফলে সাধারণ মিলারদের কাছে ধান পৌঁছায়নি। একই সঙ্গে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান শুকানোর প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়েছে। এতে করে সরবরাহ কমে গিয়ে বাজারে দাম বেড়েছে।

ভোজ্যতেলেও একই ধারা দেখা গেছে। বোতলজাত দুই লিটার সয়াবিন তেল এখন ৩৭৫ থেকে ৩৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পামঅয়েল লিটারে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা এবং সুপার পামঅয়েল ১৬২ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
ডালের বাজারও অস্থির। মাঝারি দানার মসুর ডাল এখন ১২৫ টাকা, ছোট দানার ডাল ১৪৫ টাকা, মুগ ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অ্যাংকর ডালের দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে।

দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে কেজি প্রতি দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে। তবে বড় কোনো সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

মুরগি ও মাছের বাজারেও ওঠানামা চলছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কই মাছ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৪৫০, রুই ও কাতল ৩০০ থেকে ৪৫০, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৫০, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৯৫০ এবং পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে ইলিশের দাম এখনো নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, চাঁদপুর ও বরিশালসহ বিভিন্ন মোকাম থেকে প্রচুর ইলিশ আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা  কমতে পারে বলে আশা করছেন তারা।

Nenhum comentário encontrado